পুলিশের টার্গেট চোরের উপর এমন তো প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু চোরের টার্গেটও যে পুলিশ হতে পারে জগৎবল্লভপুরের ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। একই বাড়ির চার সদস্য রয়েছেন পুলিশে। এদিকে সেই বাড়িতেই মধ্যরাতে হানা দিয়েছে চোরের দল। চুরি গিয়েছে প্রায় চার লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং নগদ ৩০ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, যাওয়ার আগে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। বাড়িতে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জানা গিয়েছে, জগৎবল্লভপুরের মুন্সিরহাটের ধসা জেলেপাড়ার কোটাল পরিবারের চারজন পুলিশের একাধিক পদে কর্মরত। এর মধ্যে রাজ্যপালের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন শুভাশিস কোটাল। হুগলির গোঘাট থানার কনস্টেবল পদে রয়েছেন পরিমল কোটাল এবং বজবজ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল পদে রয়েছেন সজল কোটাল। আবার, উদয়নারায়ণপুর থানায় হোমগার্ডের পদে রয়েছেন উজ্জ্বল কোটাল। একই পরিবারের চারজন সদস্য পুলিশের কাজে নিযুক্ত অথচ তাঁদের বাড়িই নিরাপদ নয়! ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সূত্রের খবর, রবিবার ওই পরিবারের সবাই একটি নিমন্ত্রণ বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই সময় দুষ্কৃতীরা কোটাল বাড়িতে হানা দেয়। তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে দৌরাত্ম্য চালায়। আলমারি থেকে চার লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট করে। এরপর ঘরে থাকা কেরোসিন তেল ঘরের চারপাশে ঢেলে আগুন লাগিয়ে চম্পট দেয়।
প্রথমে কেউ টের পায়নি। বাড়ির সবাই নিমন্ত্রণ বাড়ি থেকে ফিরে দেখে বাড়ির দরজা ভাঙা। ঘরে ঢুকে দেখে চারপাশ পুড়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িকে আগে থেকেই টার্গেট করে রেখেছিল। তারা জানত ওই দিন বাড়িতে কেউ থাকবে না। লুট করে ঘরের জিনিসপত্রে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।