ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য দিন ৩০ জুন, ‘হুল দিবস’। এই হুল দিবস উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হুল দিবসের পশ্চাতে রয়েছে আদিবাসী ভূমিপুত্রদের এক অসম সাহসিকতার নজির, এক সংগ্রামের ইতিহাস। এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘হুল দিবস উপলক্ষে আমার আদিবাসী ভাইবোন-সহ সকলকে জানাই অন্তরের শ্রদ্ধা। শাসকের অত্যাচারের প্রতিবাদে এবং শোষণের বিরুদ্ধে সিধো-কানহুর নেতৃত্বে সাঁওতালদের লড়াই আজও আমাদের প্রেরণা জোগায়।’ রাজ্য সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ‘সাঁওতাল বিদ্রোহের এই দুই নায়ককে সম্মান জানিয়ে তাঁদের নামে আছে জঙ্গলমহলে আমাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।’
পাশাপাশি এই বীরত্বের এবং গর্বের ইতিহাস তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘১৮৫৫ সালের ৩০ জুন সিধো ও কানহুর নেতৃত্বে ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়কার জোতদার, জমিদারদের শোষণের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ে নেমেছিলেন তাঁরা। ৩০ জুন ছিল ইংরেজ শাসকদের উৎখাত করার শপথের দিন। হুল দিবসে বীর শহিদদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম।’
প্রসঙ্গত, ১৮৫৫ সালে ৩০ জুন সিধো ও কানহুর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায় সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সান্তাল হুল-এর সূচনা হয়। এটিই ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন। ইংরেজ সিপাহিদের গুলিতে প্রাণ হারান সিধো। পরে কানহুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তাঁদের স্মরণ করতেই প্রতিবছর এই দিনে পালিত হয় ‘হুল দিবস’।