গোবিন্দ রায়: চাকরি দেওয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগে বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজ কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন এক মহিলা। সেই এফআইআর বাতিলের দাবি নিয়ে এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ‘পদ্মশ্রী’ প্রাপ্ত সন্ন্যাসী। মঙ্গলবার তিনি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর বাতিলের আবেদন জানান। বুধবার মামলার শুনানি।
ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআরের ভিত্তিতে বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রমের কার্তিক মহারাজকে মঙ্গলবারই নবগ্রাম থানায় তলব করেছিল পুলিশ। কিন্তু এদিন হাজিরার আগেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এফআইআর খারিজের আবেদন জানাতে গিয়ে বলেন, ”ভারত সেবাশ্রম সংঘের একজন মানুষ ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার পেয়েছেন। একজন মহিলা থানায় গিয়ে ১৩ বছর আগে কিছু হয়েছে, সেটার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছেন। পুলিশ নোটিস দিয়ে আজ আমাকে যেতে বলেছে। এটা সাধুসন্তদের উপর আক্রমণ।” বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলাটি গ্রহণ করে জানান, বুধবার শুনানি হবে।
ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহে। সম্প্রতি কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, ২০১৩ সালে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্তিক মহারাজ তাঁকে মুর্শিদাবাদের চাণক্য এলাকায় এক আশ্রমের এক প্রাইমারি স্কুলে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে শিক্ষিকার পদে নিয়োগ করা হয়। স্কুলে থাকার জন্য তাঁকে একটি ঘরও দেওয়া হয়। অভিযোগ, এক রাতে নাকি আচমকাই মহারাজ এসে তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। বাধ্য হয়ে তা মেনে নেন বলে জানান অভিযোগকারিণী। এরপর দিনের পর দিন মহিলার উপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার রাতে নবগ্রাম থানায় কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন মহিলা। তার ভিত্তিতে আজ থানায় হাজিরার কথা ছিল। হাজিরার বদলে এদিন তিনি হাই কোর্টে গিয়ে সেই লিখিত অভিযোগই খারিজের দাবি জানালেন।