প্রেমিকার টানে পাহাড়-নদী-দেশের সীমানা পার, এত কিছু করে কী পেল বহরমপুরের আরিয়ান...
আজকাল | ০২ জুলাই ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেম মানে না কোনও সীমানা, না কোনও কাঁটাতারের বেড়া। বিভিন্ন সিনেমায় বহুবার শোনা এই হিট ডায়লগগুলির সত্যতা পরখ করতে গিয়ে চরম বিপদে পড়লেন মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের বছর ঊনিশের এক যুবক। বাংলাদেশি প্রেমিকার টানে অবৈধভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে মহম্মদ ইউনুস সরকারের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে ঠাঁই হয়েছে বহরমপুরের বিটি কলেজ রোড লাগোয়া এলাকার বাসিন্দান আরিয়ান মির্জা নামে এক যুবকের।
ওই যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্ধুদের সঙ্গে মেঘালয় বেড়াতে যাওয়ায় নাম করে গত ২৭ জুন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আরিয়ান। যদিও তাঁর আসল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ গিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করা। গত রবিবার অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার দায়ে বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বলে সোমবার রাতে বহরমপুরে বাড়ির লোক জানতে পেরেছে।
বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরিয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর-বিছনদই এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকেই ঘনিষ্ঠতা এবং প্রেম। শেষ পর্যন্ত ওই প্রেমের টানেই সীমান্ত পার করেছিল আরিয়ান।
সূত্রের খবর, ফোনে একাধিকবার কথা বলে আরিয়ান এবং বাংলাদেশি ওই তরুণী বিয়ের ব্যাপারে মনস্থির করেন। সেই মতো লালমনিরহাটের বাড়িতে হাজির হয়ে যায় আরিয়ান। সম্পূর্ণ অপরিচিত আরিয়ানকে বাংলাদেশের গ্রামে দেখে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ওই তরুণীর বাড়ি থেকে রবিবার রাতে আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় হাতিবান্ধা থানার পুলিশ। আরিয়ানের গ্রেপ্তারির খবর জানতে পেরে ছেলেকে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়ে তার মা আয়েশা মির্জা সোমবার রাতে বহরমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের দ্বারস্থ হন।
আয়েশা বলেন, “২৯ জুন বিকেলে আমার ছেলের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছে। ভয়েস মেসেজ করে আরিয়ান জানিয়েছিল মেঘালয় ঘুরতে গিয়েছে। পরে জানতে পারি আমার ছেলে বাংলাদেশের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।“ তিনি আরও বলেন, “ছেলের গ্রেপ্তারির পর আমরা জেনেছি একটি সমাজমাধ্যমে বাংলাদেশের এক তরুণীর সঙ্গে আমার ছেলের পরিচয় হয় এবং তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতেই আমার ছেলে বাংলাদেশ গিয়েছিলো। বাংলাদেশ যাওয়ার আগে আরিয়ান আমাদের কিছুই জানায়নি।“
তিনি বলেন, “আমি চাই আমার ছেলে দ্রুত দেশে ফিরে আসুক। ইতিমধ্যে আমরা বহরমপুর থানায় নথি দিয়ে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি।“