• ‘মহিলাদের প্রিয়’ শশী তারুরকে বাংলার রাজনীতিতে আনছেন অরিন্দম শীল! কী জানা গেল ‘কর্পূর’ ছবি নিয়ে?
    আনন্দবাজার | ০১ জুলাই ২০২৫
  • বাংলা ছবিতে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর? অরিন্দম শীলের ‘কর্পূর’ ছবিতে নাকি দুঁদে রাজনীতিকের মতোই একটি চরিত্র রয়েছেন। সেই চরিত্রে অভিনয় করছেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়।

    এই মুহূর্তে পরিচালক ব্যস্ত ‘কর্পূর’ নিয়ে। একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে উপন্যাস লিখেছিলেন লেখিকা দীপান্বিতা রায়। ‘অন্তর্ধানের নেপথ্যে’ নামের সেই উপন্যাস অবলম্বনেই অরিন্দমের এই নতুন ছবি। পরিচালক নিজেই জানিয়েছিলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী নিয়ামক মনীষা মুখোপাধ্যায়ের জীবনের উপর ভিত্তি করে লেখা এই উপন্যাস।

    এই ছবিতে দুটো সময়কাল তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৯৭ সাল ও ২০১৯— সাহেবের চরিত্রটিকেও এই দুই সময়কালে দেখা যাবে। সাহেবের সাজও নাকি মনে করাবে শশী তারুরের কথা। রাজনৈতিক ছবি। তাই ছবির প্রচার অনুষ্ঠানেও সাদা পোশাকে আসেন অভিনেতা। ছবিতে মুখ্য চরিত্র অর্থাৎ মনীষার চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সুতির শাড়ি ও ভারী গয়না পরে এই দিন উপস্থিত হয়েছিলন অভিনেত্রী।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঔপন্যাসিক দীপান্বিতা রায়ও। তিনি বলেন, “ওই সময়ে কাগজে যা প্রকাশিত হয়েছিল, সব গবেষণা করেই এই বই লেখা। বইটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল। আমার নিজস্ব একটা পটভূমি রয়েছে। সেটা পর্দায় কী ভাবে দেখানো হয়, তার অপেক্ষায় আছি। ঋতুপর্ণা খুবই ভাল অভিনেত্রী। তাই ওঁকে মানাবে।”

    ছবির চরিত্রদের ‘লুক’ও এ দিন প্রকাশ্যে আনলেন অরিন্দম। ছবিতে লালবাজারের এক পুলিশ আধিকারিকের চরিত্রে দেখা যাবে ব্রাত্য বসুকে। এক রাজনৈতিক দলের অন্যতম প্রধান পদে থাকা এক নেতার চরিত্রে দেখা যাবে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। ছবিতে নাকি সিপিএম নেতা বিমান বসুর একটি চরিত্রের মাধ্যমে দেখানো হবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অরিন্দম জানান, সে রকমই একটা গুঞ্জন ছিল বাজারে। এর পরেই তিনি গ্যালিস দেওয়া প্যান্ট পরিহিত সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের ‘লুক’টা সামনে আনলেন এবং তুললেন ‘মহিলাদের প্রিয়’ শশী তারুরের কথা। যদিও পোশাকের সঙ্গে বিমান বসু নয়, বরং শশী তারুরের চেহারা ও পোশাকই মিলে যায়। তবে কাহিনিতে শশীর মতো পোশাক-পরা নেতা কেন আনা হল, সেই ধাঁধাটা রয়েই যায়!

    যদিও পরিচালক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ছবিতে কোনও চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবের কারও মিল পেলে সেই দায় তাঁদের নয়। এই ছবিতে লালবাজারের দুঁদে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দর্শক দেখবেন মন্ত্রী তথা অভিনেতা শিক্ষামন্ত্রী তথা অভিনেতা, নাট্যকার ব্রাত্য বসুকে। একটি সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকের চরিত্রে দেখা যাবে কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ব্রাত্য এবং অনন্যা—দু’জনকেই দেখা যাবে একেবারে অন্য লুকে।

    পরিচালক অরিন্দমের মাধ্যমে বড় পর্দায় আসতে চলেছে নতুন জুটি। লহমা ভট্টাচার্য এবং অর্পণ ঘোষাল। এই ছবির জন্য শুধুমাত্র পরিচালকের কথায় নিজের চুলের রং আদ্যোপান্ত বদলে ফেলেছেন অভিনেত্রী। অর্পণকে এই ধরনের চরিত্রে প্রথমবার দেখবেন দর্শক। প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকে শিক্ষা দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল মনীষার। সেই কাহিনিকে কেন্দ্র করেই চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক। ১৯৯৭ সালে মনীষার আচমকা ‘উবে’ যাওয়া ভাবিয়েছিল সকলকে। রাজ্য রাজনীতিতেও শোরগোল পড়েছিল ঘটনাটি নিয়ে। ২৮ বছর পর সেই ভাবনাকে আবার উস্কে দেবে অরিন্দমের আগামী ছবি ‘কর্পূর’। এই ছবিতে প্রথম বার বড় পর্দায় দেখা যাবে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)