ইমার্জেন্সিতে ভর্তি রোগীর ওষুধ-চিকিৎসা সামগ্রীর খরচ দেবে দক্ষিণ দমদম পুরসভা
বর্তমান | ০২ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: আপৎকালীন চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে আসেন পরিজনরা। তারপর রোগীকে ইমার্জেন্সিতে রেখে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী কিনতে যেতে হয় হাসপাতালের বাইরে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার হাসপাতালে। এবার এই ব্যবস্থার ইতি টানা হল। পুর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইমার্জেন্সিতে আসা সমস্ত রোগীর চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধের খরচ পুরসভা বহন করবে। এই উদ্যোগে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। মঙ্গলবার থেকে চালু হয়েছে এই নতুন ব্যবস্থা।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার হাসপাতাল নিয়ে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে। এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রসব করানোর অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছিল। ওই চিকিৎসককে শো-কজ করা হয়। তারপর তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। এর পাশাপাশি পুরসভার মাতৃসদন হাসপাতালটি নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই। শতাধিক কর্মী, প্রায় ৩২ জন স্থায়ী ও অস্থায়ী চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও সেখানে বছরে প্রসব হয় মেরেকেটে মাত্র ২০ জনের। কয়েকজন কর্মী না এসেও বেতন পান। কেউ হাসপাতালের কাজ ফেলে রিল বানান। গত এক দশকের উপর এই ব্যবস্থা চলছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতে বদলাতে বর্তমান পুরবোর্ড হাসপাতালে পরিষেবার মান উন্নত করতে একাধিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ইমার্জেন্সি পরিষেবা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি হাসপাতালে ইমার্জেন্সি বিভাগ রয়েছে। সেখানে থাকা চিকিৎসক ন্যূনতম মূল্যে পরিষেবা দেন। কিন্তু চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধ রোগীর পরিবারকে কিনে দিতে হয়। বহু সময় বয়স্ক মানুষকে নিয়ে পরিবারের কোনও সদস্য হাসপাতালে আসেন। আসার পর সুতো, তুলো, স্টিচ করার সামগ্রী, ওষুধ কেনার জন্য তাঁকে বাইরে যেতে হয়। এবার কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইমার্জেন্সির চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধের খরচ পুরসভা বহন করবে। এর ফলে কোষাগার থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস বলেন, ‘ইমার্জেন্সিতে আসা রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পুরসভা নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করবে।’ পাশাপাশি জানানো হয়েছে, এদিন চিকিৎসক দিবসে চিকিৎসকদের সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল।