• ভাঙড়ে জনসংযোগ না কি ড্যামেজ কন্ট্রোল? শওকত মোল্লার কর্মসূচিকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
    এই সময় | ০২ জুলাই ২০২৫
  • সামনের বছরেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। এরই মধ্যে ভাঙড়ে জনসংযোগে নামলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক ও তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। মঙ্গলবার বাড়ি বাড়ি ঘুরে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে তাঁদের সমস্যার কথা শুনলেন। তাঁরা কোন কোন সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত তাও জানলেন। তবে বিরোধীরা শওকতের এই কর্মসূচিকে জনসংযোগের জায়গায় ড্যামেজ কন্ট্রোল হিসেবেই দেখছেন।

    কিছুদিন আগেই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড় থেকে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন,' তৃণমূলের সব ভাঁওতাবাজি। ওরা আসে আর ছবি তুলে চলে যায়। মানুষের জন্য কোনও কাজ করে না।' তৃণমূলের দাবি, এ বার তারই পাল্টা জবাব দিতে এ দিন এই পদক্ষেপ করেছেন শওকত। এ দিন ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের জাগুলগাছি অঞ্চলে জনসংযোগ করেন শওকত মোল্লা।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কেউ অভিযোগ করেন, তিনি পাকা বাড়ি পাননি। কেউ অভিযোগ করেন, কৃষক বন্ধু ও বার্ধক্য ভাতার টাকা বন্ধ। অনেকেই দাবি করেন, সরকারি প্রকল্পে আবেদন করে কোনও লাভ হয়নি। শওকত মোল্লা বিডিওকে ফোন করে এলাকার লোকজনের সমস্যার কথা জানান। কোনও কোনও বাসিন্দাকে ‘সরাসরি দিদিকে বলো’ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন।

    শওকত মোল্লা বলেন, ‘আমরা যাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলাম, অধিকাংশ পরিবারের নাম রাজ্যের আবাস প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে। আমরা আশা করছি, তাঁরা দ্রুত এই পরিষেবা পেয়ে যাবেন। আর যাঁদের নাম লিস্টে নেই, তাঁদেরকে আমরা পরামর্শ দিয়েছি, যাতে তাঁরা ‘সরাসরি দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করেন। মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত তাঁদের ঘরের ব্যবস্থা করে দেবেন।’ এর পাশাপাশি তিনি বিরোধীদের বিঁধে বলেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।’

    যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের প্রকৃত সমস্যা নিয়ে এতদিন কেউ মাথা ঘামায়নি। আর এখন ভোটের মুখে এসে জনসংযোগের নাটক করছে তৃণমূল।

  • Link to this news (এই সময়)