স্থিতিশীল হলেও এখনও সঙ্কটজনকই রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। ৭৭ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের মূলত অনিদ্রার সমস্যাই প্রভাব ফেলেছে শরীরে। ধরা পড়েছে জটিল স্নায়ুর রোগও। মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে কী জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা?
তৃণমূল সূত্রে খবর, বলতে গিয়ে কথা জড়িয়ে যাচ্ছে সাংসদের। তা ছাড়া পিঠের ব্যথায় ভুগছেন তিনি। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। সাংসদের শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: মনোজ সাহার নেতৃত্বাধীন মেডিক্যাল টিমে রয়েছেন চিকিৎসক ডা: বৈভব শেঠ, ডা: অরিন্দম মৈত্র এবং ডা: রাহুল জৈন।
মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকলেও জ্ঞান রয়েছে সৌগত রায়ের। গায়ে জ্বর রয়েছে তাঁর। রাইলস টিউবের মাধ্যমে খাওয়ানো হচ্ছে তাঁকে। ক্যাথিটার লাগানো রয়েছে। ইন্ট্রা ভেনাস অর্থাৎ শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ করা হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ফ্লুইড। নেবুলাইজারও চালু করা হয়েছে। মূলত এনসেফেলোপ্যাথির কারণেই কথা জড়িয়ে যাচ্ছে তাঁর। এছাড়াও ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে, জটিল স্নায়ুরোগও ধরা পড়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা নামানো সম্ভব হয়েছে সাংসদের। কিডনির সমস্যাও কিছুটা কমেছে। তবে চিকিৎসকদের ভাবাচ্ছে তাঁর একাধিক কোমর্বিডিটি। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালয়ে জটিলতা রয়েছে সৌগত রায়ের। রয়েছে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং প্রেশার ও সুগার। কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেশি রয়েছে।
উল্লেখ্য, দিঘায় জগন্নাথধামের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সৌগত। পেসমেকার বসে। অক্ষয়তৃতীয়ার দিন অসুস্থ হয়ে পড়ায় সৌগত রায়কে আর বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেয়নি পরিবার। প্রথমে বেলঘরিয়ার হাসপাতাল এবং পরে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। গত ২২ জুন থেকে হাসপাতালে ভর্তি।