• কসবা কাণ্ড: আরও ছ’টি ধারায় মামলা মনোজিৎদের বিরুদ্ধে
    বর্তমান | ০২ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে আরও বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) হাতে। যার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও ছ’টি নতুন ধারা যুক্ত করা হল। এবার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের নির্দিষ্ট ধারা প্রয়োগ করা হল মনোজিৎ মিশ্র ও অন্য দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। পরিকল্পনা মাফিক গণধর্ষণ, দাবি সিটের।জানা গিয়েছে, এর আগে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গণধর্ষণ, আটকে রাখা সহ তিনটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। পরে আরও ছ’টি ধারা যুক্ত করার অনুমতি চেয়ে আলিপুর আদালতের কাছে আবেদন করে পুলিস। সেই অনুমতি দেন বিচারক। যার পরে তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার মোট ছ’টি ধারা যুক্ত করা হল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এতে আছে অপহরণ, মারধরের ধারাও।গতকাল কলেজ পরিচালন সমিতির বৈঠকে মনোজিৎদের বহিষ্কারে সিলমোহর দেওয়া হয়। বৈঠকে ছিলেন সমিতির সভাপতি তথা বজবজের বিধায়ক অশোক দেব। ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায়ও। উচ্চশিক্ষা দপ্তর সোমবারই কলেজ কর্তৃপক্ষকে সাত দফা নির্দেশ দিয়েছিল। তাতে মনোজিৎকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং জইব ও প্রমিতকে কলেজ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ ছিল। বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা শোকজ করতে বলা হয়। গতকালের বৈঠকে সমস্ত নির্দেশ মানা হয়। মনোজিৎকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি তাকে বেতন বাবদ প্রাপ্ত অর্থও ফেরাতে বলা হবে। নিরাপত্তা এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিই বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ছাত্রছাত্রীদের আইকার্ড দেখে ঢোকানো, দুপুর ২টোর পরে কোনও পড়ুয়াকে ঢুকতে না-দেওয়া, নির্দিষ্ট সময়ের পরে ক্যাম্পাস খালি করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)