আফ্রিকার মশা এবার কলকাতায়! ডেঙ্গুর মরশুমে বাড়ছে চিন্তা
প্রতিদিন | ০২ জুলাই ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্যর দেশগুলিতে তাদের উৎপাত ব্যাপকভাবে দেখা যায়। কিন্তু তাই বলে খাস কলকাতায়! প্রথম চোটে বিস্ময়। কিন্তু ল্যাবরেটরিতে ভালো করে পরখ করে পুরসভার পতঙ্গবিদরা বুঝতে পারলেন, ভুল নয়। কার্যত বিরল প্রজাতির এডিস ভিকটেটাস প্রজাতির মশার লার্ভা সেটি। পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়ির গাছের টবের মধ্যে লার্ভা অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। দিন দশেক আগে এই মশাটি শনাক্ত করা হয়েছে।
দেরি না করে টেস্টটিউবে সেই মশার লার্ভা পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগের ল্যাবরেটরিতে ‘মশা ঘরে’ রাখা হয়। সেখানে লার্ভা থেকে পিউপা এবং নির্দিষ্ট সময়ান্তরে পূর্ণাঙ্গ মশা পাওয়া যায়। পতঙ্গবিদরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হলেন মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলিতে ত্রাস সৃষ্টিকারী এডিস ভিকটেটাস প্রজাতির মশা পাওয়া গিয়েছে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিয়োগী রোডে। পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ ড. দেবাশিস বিশ্বাস বলেছেন, এডিস এজিপ্টাইয়ের মতোই ডেঙ্গুর বাহক এই মশা একইরকম মারাত্মক। তবে শুধু ডেঙ্গু নয়। মশার মধ্যে থাকা ভাইরাস মানুষের রক্তে প্রবেশ করলে জিকা, চিকনগুনিয়া এমনকী, পীতজ্বরও হতে পারে। তবে পশ্চিমবঙ্গে জিকা ও পীতজ্বরের প্রকোপ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই রক্ষা।
পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগ সূত্রে খবর, গত বছর দক্ষিণ কলকাতায় এই প্রজাতির মশা পাওয়া যায়। পরপর দু’বছর একই প্রজাতির মশা পাওয়াতে কিছুটা হলেও চিন্তিত ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগ। পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে কতধরনের মশা পাওয়া যায় তা নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা শুরু হয়েছে। তার ফলেই এই নতুন প্রজাতির মশা মিলল। এর মধ্যে কলকাতার বিভিন্ন খালে নৌকা চালানো হচ্ছে। মশার লার্ভা মারার জন্য।