• AI ক্যামেরা থেকে বায়োমেট্রিক স্ক্যানার, D.El.Ed পরীক্ষায় থাকছে কড়া নজরদারি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ জুলাই ২০২৫
  • ডিএলএড পরীক্ষা ও প্রাথমিক টেটকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভুয়ো প্রার্থীর প্রবেশ রুখতে বা নজরদারির ঘাটতি এড়াতে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এবার আনা হচ্ছে একের পর এক আধুনিক প্রযুক্তি।


    জানা যাচ্ছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখেই প্রার্থীদের জন্য থাকছে বায়োমেট্রিক স্ক্যানার। পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য থাকবে হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর ও বিশেষ ধরনের ‘সেশনাল ইনিশিয়েশন প্রোটোকল’ ফোন। প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পরিবহণেও থাকছে প্রযুক্তির নজরদারি। নিরাপত্তার অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে থাকছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-চালিত সিসিটিভি ক্যামেরা। এই ক্যামেরাগুলি শুধু পরীক্ষার্থীদের নয়, পরিদর্শকদের গতিবিধিও খতিয়ে দেখবে। কেউ দীর্ঘক্ষণ দায়িত্বে গাফিলতি করলে সরাসরি অ্যালার্ট পাঠাবে পর্ষদকে। প্রশ্নপত্র পরিবহণে ব্যবহৃত গাড়িগুলিতে থাকবে জিপিএস ট্র্যাকিং। গাড়ি চলার প্রতিটি মুহূর্তের আপডেট পাবে পর্ষদ। এমনকি গাড়ির দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সংকেত পৌঁছবে নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণকক্ষে। থাকবে ‘মাস্টার কি’ সহ বিশেষ তালা।

    পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় তথ্য আদানপ্রদানে ব্যবহৃত হবে নির্দিষ্ট ধরনের ফোন। উল্লেখ্য, আগামী দু’মাসের মধ্যে ডিএলএডের প্রথম ও দ্বিতীয় সেমেস্টার পরীক্ষা রয়েছে। এই পরীক্ষা থেকেই নতুন ব্যবস্থাগুলি চালু হবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।

    পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র ডাকা হয়েছে। ১১ জুলাইয়ের মধ্যে সংস্থাগুলিকে আবেদন করতে বলা হয়েছে। পর্ষদ সভাপতি বলেন, এবারের মতো এত সুসংগঠিত ও প্রযুক্তি-নির্ভর প্রস্তুতি আগে কখনও হয়নি। আগে কিছু ব্যবস্থা ছিল, এবার আরও আধুনিক প্রযুক্তি যোগ হয়েছে। স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা দুটোই বজায় রাখতে পর্ষদ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    অন্যদিকে, ডিএলএড-এর প্রথম সেমেস্টারের জন্য ৪৫ হাজার আসনে ভর্তি আবেদন শুরু হচ্ছে ৪ জুলাই থেকে। সূত্রের খবর, অনুমোদিত সমস্ত কলেজেই ভর্তির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যদিও, এর মধ্যে কয়েকটি কলেজের স্বীকৃতি বাতিল করেছে এনসিটিই। পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, অনেক সময় এনসিটিই প্রাথমিকভাবে স্বীকৃতি বাতিল করলেও পরে আবার অনুমতি দিয়ে দেয়। এই পরিস্থিতিতে কলেজগুলিকে আটকে দিলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবে। পর্ষদ আর নতুন করে মামলা-মকদ্দমায় জড়াতে চায় না।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)