আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিলীপ পর্ব পেরিয়ে সুকান্ত জমানা। সেই জমানার যবনিকা পতন ঘটবে, তা জানাই ছিল। ওই জুতোয় পা কে গলাবেন? গত কয়েকদিনের চর্চায় তাও স্পষ্ট ছিল একপ্রকার। সোমবার রাত থেকে যেন দুইয়ে দুইয়ে মিলে যাওয়ার ছবি স্পষ্ট হচ্ছিল। বুধবার সত্যি হল জল্পনা। সুকান্ত মজুমদারের পর, বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য। পদ্মশিবিরের বৃহস্পতিবার নয়া রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা।
শমীকই যে বিজেপির নতুন রাজ্যসভাপতি হতে চলেছেন তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। তবে সেই জল্পনা আর তা সত্যি হওয়ার মাঝে নাটকীয় মোড়ও রয়েছে। শমীকের দিল্লি সফর, রুদ্ধদ্বার বৈঠক, শীর্ষনেতার সম্মতি এবং দিল্লি থেকে ফিরেই একেবারে শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন জমা যেমন একদিকে। অন্যদিকে শমীকের সঙ্গেই বিজেপির আরেক নেতা মনোনয়ন দিয়েছিলেন বলে খবর সূত্রের। সূত্রের খবর, পটাশপুরের বিজেপি নেতা আচমকা এই লড়াইয়ের মাঝে ঢুকে পড়েন। যদিও বেহস্কিছু কারণে তাঁর মনোনয়ন গ্রাহ্য হয়নি বলে জানা গিয়েছে। নিয়ম মাফিক, বুধবারের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। শমীকও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে নেননি। ফলে তিনিই হচ্ছেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি।
২০২৬-এর ভোটের আগে, এই পদে কে বসবেন তা নিয়ে চর্চা ছিল। চর্চার কারণও ছিল। ২০১৯-এ বিজেপি রাজ্যে যে জায়গায় ছিল, ২০২১-এর ভোট আর ২০২৪-এর ভোট দেখিয়েছে পরিস্থিতির বদল কতটা। দিনে দিনে গ্রহণযোগ্যতা কমছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। প্রায় পাঁচ দশকের শমীক নিজে বিনা ভোটে জিতলেও, ভোটের আগে পদ্মবনের পালে কতটা হাওয়া টানতে পারেন, তাই এখন দেখার।