• কালীবাড়ি বাজারে জমা জলে মশার আঁতুড়ঘর, ডিএমের ধমক খড়িয়া পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে
    বর্তমান | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বারবার বলার পরও হুঁশ ফেরেনি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া পঞ্চায়েতের। অবশেষে বুধবার জেলাশাসকের ধমক খেয়ে নড়েচড়ে বসল পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি বাজারে শুরু হল সাফাই।  

    জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি বাজারটি বহু পুরনো। কিন্তু প্রয়োজনীয় দেখভালের অভাবে সেই বাজারের এখন হতশ্রী চেহারা। নিকাশি নালা না থাকায় বাজারের মধ্যে জমে রয়েছে জল। আর সেই জলে কিলবিল করছে মশার লার্ভা। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, বাজার চত্বর ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে । এদিন সকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, জমা জলে ভাসছে মাছের থার্মোকলের বাক্স থেকে প্লাস্টিক। দৃশ্যদূষণের পাশাপাশি বাজারের পরিবেশ দূষণ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

    চলতি বছরে জলপাইগুড়ি জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। বর্ষার মরশুমে তা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্যদপ্তরের। ফলে ডেঙ্গু দমনে মরিয়া জেলা প্রশাসন। এলাকায় যাতে কোনওভাবে জমা জল না থাকে, সেব্যাপারে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে পুরসভা ও পঞ্চায়েতকে। সেখানে কীভাবে পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি বাজারে দিনের পর দিন জল জমে রয়েছে, এদিন তা নিয়ে চরম ক্ষোভপ্রকাশ করেন জেলাশাসক শমা পারভীন। এ ব্যাপারে জেলাশাসকের ধমক খেয়ে এদিন দুপুরের পর ওই বাজারে সাফাই অভিযান শুরু করে স্থানীয় খড়িয়া পঞ্চায়েত। 

    জেলাশাসক বলেন, কেন পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি বাজারে জল জমে রয়েছে এবং বাজার চত্বর নিয়মিত সাফাই হয় না, তা নিয়ে খড়িয়া পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় যাঁরা ডেঙ্গু দমনের কাজে যুক্ত, তাঁদেরও এ ব্যাপারে জানাতে বলা হয়েছে। কারও গাফিলতি থাকলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    খড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনোজ ঘোষ বলেন, জেলাশাসকের নির্দেশ পাওয়া মাত্র আমরা এদিন বাজারে সাফাই অভিযান শুরু করি। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে যাতে বাজারে নিকাশি নালার ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়, সেটা দেখা হচ্ছে।

    জেলাশাসকের ধমকের পর নড়েচড়ে বসলেও পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি বাজার চত্বর ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হয়ে থাকা সত্ত্বেও এতদিন কেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি? উত্তরে খড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রধান কানন অধিকারী বলেন, কর্মীর সংখ্যা কম। পঞ্চায়েতের অনেকটা বড় এলাকা। সেকারণে সবটা সময়মতো করা সম্ভব হয় না। তবে আমরা চেষ্টা করি। 

    পঞ্চায়েতের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বাজার কমিটির সম্পাদক বাবলা মিশ্র বলেন, বাজার চত্বরে জমা জলে মশার লার্ভা কিলবিল করছে। বর্জ্য সাফাই হয় না। চারদিকে প্লাস্টিক ছড়িয়ে রয়েছে। পঞ্চায়েতের কাছ থেকে আমরা কোনও পরিষেবা পাই না। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)