নাবালিকার যৌন হেনস্তা ও শারীরিক নির্যাতন, গ্রেপ্তার ২
বর্তমান | ০৩ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার ও কুমারগ্রাম: প্রতিবেশী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা ও শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগে পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তিকে বুধবার গ্রেপ্তার করে কুমারগ্রাম থানার বারোবিশা ফাঁড়ির পুলিস। কুমারগ্রাম ব্লকেই ১১ বছর বয়সি ওই নাবালিকার বাড়ি। অন্যদিকে, ১২ বছরের নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের উত্তর পারোকাটা গ্রামের বাসিন্দা ৬২ বছরের এক বৃদ্ধকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে কুমারগ্রামের ওই নাবালিকা বাড়িতে একা ছিল। প্রতিবেশী ওই ব্যক্তি নাবালিকার বাড়িতে এসে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। নাবালিকার মা সেসময় গোরু আনতে মাঠে ছিলেন। তিনি ফিরে এসে ঘটনাটি দেখেন। এরপর অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। নাবালিকার মা বারোবিশা পুলিস ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ জানান। এরপরই পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। এদিন নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস।
নাবালিকার মা বলেন, মেয়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, মূক ও বধির। চলাফেরাও করতে পারে না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত এমনটা করে। তার কঠোর শাস্তি চাই।
ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান অসীম বসু বলেন, উত্তর পারোকাটার ঘটনাটি নিয়ে শামুকতলা থানা আমাদের জানিয়েছে। পকসো আইনে মামলা হয়েছে। যদিও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার ঘটনাটি ঘটে এক মাস আগের। ফাঁকা বাড়িতে ছাগল রাখার ঘরে নাবালিকাকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে প্রতিবেশী ওই বৃদ্ধ। কিন্তু এক মাস ধরে ঘটনাটি চেপে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার শামুকতলা থানায় ফোন করে এক ব্যক্তি পুলিসকে ঘটনার কথা জানান। পুলিসি তদন্তে যৌন হেনস্তার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর নাবালিকার ঠাকুমার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে। শামুকতলা থানার ওসি বিশ্বজিৎ দে বলেন, এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করার ঘটনায় বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে পকসো আইনে মামলা হয়েছে।