হাতির হামলা, নানাই নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত খুকুলুং বনবস্তি ও উত্তর খট্টিমারির কৃষকরা
বর্তমান | ০৩ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: নানাইয়ের ভাঙন আর হাতির হামলা! এই দুইয়ের আতঙ্কে রাত কাটে ধূপগুড়ির ঝাড়আলতা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের খুকুলুং বনবস্তি ও উত্তর খট্টিমারির কৃষকদের। পাশেই খট্টিমারি জঙ্গল। তা ঘেঁষে গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে নানাই নদী। অনেকেই এই নদীকে দুঃখিনী নানাই বলেন। কিন্তু, এই নাম কেন, তা জানেন না রাভা ও আদিবাসী জনজাতির মানুষ। শুধু জানেন, বর্ষা আসলেই দুঃখিনী নানাই কৃষিজমি তার গর্ভে নিয়ে দুঃখী করে তোলে নদীর তীরে বসবাস করা মানুষদের। নদীর একূল ভাঙে ওকূল গড়ে, কিন্তু দুঃখিনী নানাই ছাড় দেয়না কোনও কূলকেই। এজন্য হয়তো তাকে দুঃখিনী নানাই বলা হয় বলে অনেকের ধারণা। কিছু চাষ করলে জঙ্গল থেকে ছুটে আসে হাতির দল। ফসল বাঁচাতে রাত জেগে পাহাড়া দিতে হয় চাষিদের। এভাবে নদীর গর্ভে জমি বিলীন হলে খাব কি, প্রশ্ন তপ্পু মুণ্ডা, রাজেশ রাভার মতো মানুষদের।
নদী বাঁধ? একাধিকবার সেচদপ্তরের আধিকারিকরা এসেছিলেন। দিয়েছিলেন প্রতিশ্রুতি। কিন্তু নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা হয়নি। এমন দাবি দীনেশ রাভার। সামনে বিধানসভা ভোট। তার আগেই নানাই নদীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন এমনটাই চাইছে এলাকার মানুষ। এলাকার উপপ্রধান রবি রাভাও চিন্তিত। তিনি বলেন, প্রতি বছর নানাই নদী গতিপথ বদলাচ্ছে। বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। এবছর কয়েকটি বাড়ি সহ একটি মন্দির ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই সমস্যা নিয়ে ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, অনেক নদী বাঁধের কাজ হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখব।
খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বানারহাটের সেচদপ্তরের এসডিও গৌরব ভৌমিকও। নানাই নদীর ভাঙন। - নিজস্ব চিত্র।