• ২১ জুলাই সমাবেশে দেড় হাজার মানুষ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি, তৃণমূলের গড়বেতা-২ ‘এ’ সাংগঠনিক ব্লক
    বর্তমান | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: বাম আমলে রাজনৈতিক হানাহানি নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল। সেসময় সিপিএমের নেতাদের চোখরাঙানি এখনও ভুলতে পারেননি স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাই এবারও শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি নেই। এবছর ২১জুলাই কলকাতায় শহিদ স্মরণে শাসকদলের গড়বেতা-২ ‘এ’ সাংগঠনিক ব্লক থেকে দেড়হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবেন। বুধবার এনিয়ে ওই এলাকার তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাকর্মীরা বৈঠক করলেন।সেখানে দলের সংশ্লিষ্ট ব্লক সভাপতি সুধাংশুশেখর মণ্ডল, জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ চন্দনকুমার সাহা, গড়বেতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনবন্ধু দে সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল নেতারা জানান, ইতিমধ্যে বাস ও ছোট গাড়ি বুকিং শুরু হয়েছে। ট্রেনে চেপেও বহু কর্মী যাবেন। তবে পর্যাপ্ত গাড়ি পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।

    সুধাংশুশেখরবাবু বলেন, সিপিএমের অত্যাচার মানুষ এখনও ভোলেননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রেকর্ড ভিড় হবে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলনেত্রী কী বার্তা দেন, তা শোনার জন্য কর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনবন্ধু দে বলেন, আগে রাস্তা, জলের প্রচণ্ড সমস্যা ছিল। মানুষ সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতেন না। তবে রাজ্যে পালাবদলের পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলেছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ ধর্মতলায় উপস্থিত থাকবেন।

    শালবনী বিধানসভার এই এলাকা একসময় সিপিএমের গড় ছিল। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এখানে বিরোধী দল করার অনুমতিও কাউকে দেওয়া হতো না। সিপিএম বা বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই মারধর করা হতো। মানুষ সংবাদপত্রও লুকিয়ে পড়তেন। ২০১১ সালের পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। বাম আমলে এলাকার কিছু মানুষ মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এখন তাঁরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এলাকার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের মানুষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ হচ্ছে।স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এলাকায় সারাবছর ধরে নানা সমাজসেবামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। রক্তদান, বস্ত্রদান শিবির হয়। মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বইখাতা কিনে দেওয়া হয়। এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চন্দনকুমার সাহা বলেন, মানুষের পাশে থাকাই আমাদের মূল কর্তব্য। সিপিএম মানুষের পাশে থাকেনি বলেই এখন শূন্যে পৌঁছে গিয়েছে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)