• কৃষ্ণনগর পুরসভায় পরিষেবা সচল রাখতে বৈঠক করলেন জেলাশাসক
    বর্তমান | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে কৃষ্ণনগর শহরের নাগরিক পরিষেবা সচল রাখতে পুরসভায় চেয়ারপার্সন ও কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠক করলেন জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার বিকেলে ওই বৈঠক হয়। বৈঠক প্রসঙ্গে জেলাশাসক বলেন, শহরে পুর পরিষেবা ঠিক রাখার জন্যই একটা সমন্বয় বৈঠক করা হয়েছিল। 

    কৃষ্ণনগর পুরসভায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে উন্নয়নমূলক কাজও। নতুন অর্থবর্ষ তিন মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও বার্ষিক বাজেট চূড়ান্ত করা যায়নি। তৃণমূল কাউন্সিলারদের একাংশ কাজের অসম বন্টন, স্বজন-পোষণের মতো একাধিক অভিযোগ এনেছে চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে। পুরসভায় মারপিট ও পুরকর্মীকে মারধর করার মতো অভিযোগও উঠেছে চেয়ারপার্সন বিরোধী কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণনগর পুরসভার এই পরিস্থিতি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল। 

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কংগ্রেস ও নির্দল দু’জন ও তৃণমূলের ১৩ জন কাউন্সিলার চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন। পুর পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা সচল রাখার জন্য মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ জেলাশাসক, চেয়ারপার্সন ও তৃণমূলের ১১ কাউন্সিলারকে নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার এসপি অমরনাথ কে সহ প্রশাসনের আধিকারিকরাও। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। তাতে উভয়পক্ষই তাদের মতামত জানায়। প্রশাসনের তরফ থেকে, নাগরিক পরিষেবা ও পুরসভার কাজকর্ম চালুর ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। 

    চেয়ারপার্সন রীতা দাস বলেন, আমরাও চাই শহরের নাগরিক পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক হোক। শহরকে ছন্দে ফেরানোই আমাদের লক্ষ্য। চেয়ারপার্সনের বিরোধী কাউন্সিলার মিলন ঘোষ বলেন, কৃষ্ণনগর পুরসভায় দীর্ঘদিন ধরেই অচলাবস্থা চলছে। তাই প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে জেলাশাসক আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রূকবানুর রহমান বলেন, এই বৈঠকের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা একান্তই প্রশাসনিক বিষয়। 
  • Link to this news (বর্তমান)