• স্ত্রীকে মারধরে অভিযুক্তকে প্রহার
    বর্তমান | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ পেয়ে গ্রামে আসে পুলিস। অভিযোগ, সবাইকে বাড়ির বাইরে বের করে দিয়ে স্বামীকে মারধর করে পুলিস ও বধূর পরিবারের লোকজন। পরে পুলিস চলে যেতেই বাড়ির লোকজন এসে দেখে গলায় দড়ি জড়ানো অবস্থায় ঝুলছে প্রশান্ত ভাণ্ডারি(৫৫) নামের ওই প্রৌঢ়। বুধবার এঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মল্লারপুর থানার মাঠমহুলা গ্রামে। মৃতের ভাইপো অভিজিৎ ভাণ্ডারির অভিযোগ, মারধরের জেরে কাকার মারা যাওয়ায় আত্মহত্যা বলে চালাতে ওরা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। সঠিক কারণ জানতে ঘটনার তদন্ত করা হোক। যতক্ষণ না সেই আশ্বাস পাচ্ছি  ততক্ষণ দেহ নিয়ে যেতে দেব না। 

     পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশান্তবাবুর প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর বছর নয়েক আগে নলহাটির তেজহাটি গ্রামের পার্বতী ভাণ্ডারিকে বিয়ে করেন। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। প্রশান্তবাবু মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। বুধবার রাতেও পার্বতীদেবীকে ব্যাপক মারধর করেন। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পার্বতীদেবীর পরিবার। এদিন পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে বধূর পরিবারের লোকজন গ্রামে আসেন। অভিজিৎবাবু বলেন, সবাইকে বাড়ির বাইরে বের করে দিয়ে পুলিস ও কাকিমার বাড়ির লোকজন কাকাকে ব্যাপক মারধর ওরা কাকিমাকে নিয়ে থানায় চলে যায়। পরে বাড়িতে এসে দেখি, কাকা গলায় দড়ি জড়ানো অবস্থায় ঝুলছে। এখন ওরা মেরে ঝুলিয়ে দিল, নাকি কাকা আত্মহত্যা করল, তার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। 

    যদিও পুলিস মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, মৃত প্রৌঢ় নিত্যদিন মদ্যপান করে স্ত্রীকে মারধর করত। এর আগেও তাঁকে একাধিকবার থানায় ধরে আনা হয়েছিল। সেসব কপি থানায় রয়েছে। মঙ্গলবারও প্রশান্তবাবু স্ত্রীকে মাবধর করেন। স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যেতে চাইলেও ছাড়ছিল না। অভিযোগ পেয়ে আমরা এদিন তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। সেসময় ওই প্রৌঢ় পালিয়ে যায়। পরে ওই প্রৌঢ় গলায় দড়ি জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যেহেতু পুলিস গিয়েছিল, তাই বলা হচ্ছে পুলিস মেরে ফেলেছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)