নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: মধ্যমগ্রামের বসুনগর এলাকার বাসিন্দা অশ্রুকণা দত্ত। গত ৯ জুন বাড়িতে দুই সন্তানকে রেখে দত্ত দম্পতি গিয়েছিলেন ডাক্তার দেখাতে। ফিরে এসে তাঁরা দেখেন, পরিচারিকা চম্পা দাস বাড়ি চলে গিয়েছে। একটি ঘরে আলমারির দরজ খোলা। আলমারির লকার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে চারটি সোনার হার, দু’জোড়া কানের দুল, আংটি সহ প্রায় ১১ লক্ষ টাকার গয়না। অভিযোগ দায়ের হয় মধ্যমগ্রাম থানায়। চুরি যাওয়া সেই গয়না পুলিস উদ্ধার করল মাটির নীচ থেকে! চোরাই মাল লুকিয়ে রাখার এমন কৌশল দেখে হতবাক অনেকে। আদালতের নির্দেশ মতো বুধবার সমস্ত গয়না মালিকের হাতে তুলে দেয় পুলিস।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ জুনের মাত্র তিন দিন আগে ওই বাড়িকে কাজে যোগ দিয়েছিল চম্পা। এর মধ্যেই সে জেনে গিয়েছিল, আলমারির চাবি কোথায় রাখা থাকে। ওই দিন কাজের ফাঁকে সে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা আলমারির চাবি নিয়ে নেয়। তারপর চুপিসারে আলমারি খুলে লকারে থাকা সব গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। বুধবার সেই গয়না ফেরত দিল পুলিস। অশ্রুকণাদেবী বলেন, ‘ওকে কাজে নেওয়ার সময় আমি পরিচয়পত্র দেখানোর কথা বলেছিলাম। দেবে বলে জানালেও দেয়নি। কাজে যোগ দেওয়ার তিনদিনের মধ্যেই সোনার গয়না চুরি করে পালায়। তারপর আর কাজে আসেনি। আমাদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই আমার ওকে সন্দেহ হয়। থানায় অভিযোগ করি। শেষে মধ্যমগ্রামেই ওই পরিচারিকার বাড়ির মেঝে খুঁড়ে চুরি যাওয়া ১১ লক্ষ টাকার সোনার গয়না উদ্ধার করেছে পুলিস। তাদের অশেষ ধন্যবাদ।’ বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার(জোনাল) অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘চুরির সামগ্রী লুকিয়ে রাখতে ওই পরিচারিকা অভিনব কৌশল নিয়েছিল। আমরা তাকে জেরা করলে সে ভেঙে পড়ে। মাটির তলা থেকে তা উদ্ধার হয়েছে সোনার গয়না।’