• জমি অধিগ্রহণ সহজ করতে বিকল্প নীতি আনছে ECL
    এই সময় | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • এই সময়, আসানসোল: কয়লাখনি সম্প্রসারণের সময়ে জমিজটের হয়রানি কাটাতে বিকল্প জমি অধিগ্রহণ নীতি আনছে ইসিএল। জমিদাতারা কেউ খনির চাকরিতে যোগ দিতে না-চাইলে এককালীন বা মাসিক কিস্তিতে ক্ষতিপূরণের টাকা নিতে পারেন।

    কর্তৃপক্ষের দাবি, কোল ইন্ডিয়ার অন্তর্গত সংস্থাগুলির মধ্যে ইসিএল-ই প্রথম এই বিকল্প জমি অধিগ্রহণ নীতি প্রণয়ন করতে চলেছে।

    ইসিএলের ভূমি দপ্তরের জিএম পার্থশঙ্কর দে জানিয়েছেন, এতদিন দু’একর জমি পিছু কয়লাখনিতে একটি চাকরি ও বর্তমান মুল্যে জমির ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতো জমিদাতাদের।

    এই নীতিটি চালু রাখার পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। তা হলো, যে সব জমিদাতা দু’একর জমি দেবেন তাঁরা জমির বর্তমান দাম বাবদ ন্যূনতম ৮৯ লক্ষ ও সর্বোচ্চ ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এককালীন পাবেন।

    যদি কেউ মাসিক কিস্তিতে টাকা পেতে চান তবে তাঁরা প্রতিমাসে ৪৪ হাজার টাকা করে পাবেন। এই টাকা দ্বিতীয় বছর থেকে প্রতি বছর বার্ষিক এক শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। ৪৫ বছর পর্যন্ত টানা এই টাকা জমিদাতা পাবেন। জমিদাতার অবর্তমানে তাঁর যোগ্য উত্তরাধিকার এই টাকা পাবেন।

    ইসিএলের সিএমডি সতীশ ঝা জানিয়েছেন, কয়লাখনি সম্প্রসারণের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জমি কিনতে হয়। কিন্তু শরিকি ঝামেলার ক্ষেত্রে কে চাকরি পাবেন এ নিয়ে বিবাদের জেরে জমি পেতে সমস্যা হচ্ছে।

    এমনও দেখা গিয়েছে জমি দেওয়ার পরে জমিদাতাদের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যায়। আইনি জটিলতা দেখা দেয়। যার ফলে ইসিএলের সঙ্গে জমিদাতাদের সম্পর্ক খারাপ হয়। জমিজটের এ সব হয়রানি থেকে মুক্তি পেতেই বিকল্প জমি অধিগ্রহণ নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    আবার অনেক ক্ষেত্রে জমিদাতারা উচ্চশিক্ষিত হওয়ায় তাঁরা কোলিয়ারির চাকরিতে যোগ দিতে চান না। এ ব্যাপারে জানিয়ে পার্থশঙ্কর দে বলেন, ‘চাকরি নাপসন্দ ছাড়াও উপযুক্ত দাম না-পেয়ে ইসিএলকে জমিও বিক্রি করেন না অনেকে। ফলে সম্প্রসারণের কাজ থমকে যায়। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা চালু হলে যাঁরা উচ্চশিক্ষিত তাঁরা এককালীন টাকা নিয়ে জমি বিক্রি করতে চাইবেন।’

    ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জমিজটের কারণে ইসিএলর বহু লাভজনক প্রকল্প থমকে রয়েছে। বিকল্প নীতি প্রণয়ণ হলে সে সব প্রকল্প এ বার দ্রুত রূপায়িত হবে।

  • Link to this news (এই সময়)