• ২১ জুলাই উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক BJP-র, ভাবনায় নবান্নও
    এই সময় | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • এই সময়: আগামী ২১ জুলাই, যে দিন তৃণমূল ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে, সে দিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিল বিজেপি। বুধবার কসবায় বিজেপির যুব মোর্চার ডাকা সভা থেকে ওই অভিযানের ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    কসবা গণধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল যুব মোর্চা। পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় হাইকোর্টে মামলা করে সভার অনুমতি আদায় করে যুব মোর্চা। আগামী ৯ অগস্ট আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন–ধর্ষণের এক বছর পূর্ণ হবে।

    শুভেন্দু জানান, তিনি নির্যাতিতার বাবাকে অনুরোধ করবেন, ওই দিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়ার। ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি এ দিন সল্টলেকে মহিলা কমিশনের সামনে হ্যারিকেন-ঝাঁটা নিয়ে অভিযান করে।

    আদালত সময় বেঁধে দিয়েছিল। তাই এ দিন বিকেলে বৃষ্টির মধ্যেই সভা করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘বৃষ্টি তো দূরের কথা, এই সরকারকে সরাতে গুলি খেতেও রাজি আছি। আমাদের লড়াই চলবে।

    ২১ জুলাই ওরা কলকাতায় ডিমভাত খাবে, আমরা উত্তরকন্যায় যাব। কর্মীদের বলছি, নিজের খরচে যাবেন, ভালো করে লড়তে হবে।’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘৯ অগস্ট ভুলে গেলেন! এক বছর আগে ওই দিনে চিকিৎসক বোনটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়।’

    তিনি জানান, উল্টোরথের দিন তিনি পানিহাটি যাবেন। দেখা করবেন নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁকে বলব, ওই দিন পতাকা ছাড়া নবান্ন অভিযানের ডাক দিন। নবান্ন অভিযানে মমতার সরকারের পতন ঘটানোর ডাক থাকবে।’

    ২১ জুলাইয়ে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপিতে আলোচনা চলছে। এর আগে একটি কর্মসূচি করলেও তা ফ্লপ হয়। দলের নেতাদের একাংশের মত ছিল, ওই দিন কোনও কর্মসূচি করলে তা প্রচার পাবে না।

    তবে অন্য অংশের নেতাদের মত ছিল, বড় কর্মসূচি করলে অন্তত তৃণমূলের কর্মসূচির কভারেজে টিভি এবং অন্যান্য স্ক্রিনে ভাগ বসানো যাবে। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণে না করে বিজেপি নেতৃত্ব উত্তরে কর্মসূচি চূড়ান্ত করে ফেলে।

    কসবার সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘আজ রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দলের সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) অমিতাভ চক্রবর্তীকে বুঝিয়ে উত্তরকন্যা কর্মসূচি চূড়ান্ত করে এসেছি।’

    এ দিন দুপুরে সল্টলেকে রাজ্য মহিলা কমিশনের অফিসের সামনেও হ্যারিকেন হাতে দেখা যায় বিজেপির নেতা-কর্মীদের। তাঁদের দাবি, কসবার আইন কলেজে আইনের ছাত্রীকে কলেজের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যের মহিলা কমিশন কোনও উচ্চবাচ্য করছে না।

    সে কারণেই মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে লণ্ঠন হাতে খুঁজছেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা। যদিও কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ঘটনার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সুয়োমোটো কেস শুরু করেছি।

    সে দিনই নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের লিগ্যাল অ্যাডভাইজ়ার, আইনজীবী, কাউন্সেলর— আমরা সকলে ছিলাম। আমরা রিপোর্ট তৈরি করে সরকারকে পরামর্শ পাঠিয়ে দিয়েছি। পুলিশের কাছ থেকেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)