উপাচার্য নেই। মেয়াদ শেষ হতে চলেছে রেজিস্ট্রারের। ‘ফিন্যান্স অফিসার’-এর বাড়তি মেয়াদ শেষ হবে চলতি মাসেই। আর তাতে অচলাবস্থা তৈরির মুখে পড়েছে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ, এক সঙ্গে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা থাকলে জটিলতা বাড়তে পারে। গবেষণা সংক্রান্ত কাজ থেকে সেমিনার, বেতন, পরীক্ষার মতো বিষয় নিয়েও জটিলতার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, আগামী ৩১ জুলাই মেয়াদ শেষ হবে রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সফেলির। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসার তাপস মান্নার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩১ জানুয়ারি। পরে তাঁর কাজের মেয়াদ বাড়ে। সেই বাড়তি মেয়াদও শেষ হবে চলতি মাসেই। দু'জনেই অবশ্য ফের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য উচ্চ শিক্ষা দফতরে আবেদন করেছেন। রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সফেলি বলেন, ‘‘উচ্চ শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মেনেই আমরা কাজ করব।’’কোচবিহার কলেজের অধ্যক্ষ তথা কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘‘উপাচার্য না-থাকায় এমনিতেই নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিকে। যত দূর জানা গিয়েছে এ বারে রেজিস্ট্রার এবং ফিন্যান্স অফিসারের মেয়াদও শেষ হতে চলেছে। তাতে স্বাভাবিক কাজ কাজকর্ম ব্যাহত হবে। বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত ৩ জানুয়ারি মেয়াদ শেষ হয় উপাচার্যের। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিখিলেশ রায়কে। রাজ্যের তাতে সায় ছিল না। তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এ বারে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে উপাচার্যহীন কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। ওয়েবুকুপার কোচবিহার জেলার সভাপতি তথা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাবলু বর্মণ বলেন, "উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের মতো দু’টি পদ এক সঙ্গে ফাঁকা থাকলে অনেক সমস্যা হবে। উপাচার্য না-থাকায় এমনিতেই অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমরা উচ্চ শিক্ষা দফতরে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।’’