• চিপ্‌স-কাণ্ড: ‘আমি চুরি করিনি’ লিখে আত্মঘাতী সেই কিশোরের মা-দিদিকে ধর্ষণ-খুনের হুমকি! অভিযোগ পাঁশকুড়া থানায়
    আনন্দবাজার | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • চিপ্‌স-কাণ্ডে ‘মা, আমি চুরি করিনি’ লিখে আত্মঘাতী হওয়া সেই কিশোরের মা এবং দিদিই এ বার ধর্ষণ-খুনের হুমকি পেলেন! কিশোরের মৃত্যুর পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ করেছেন মৃতের মা।

    পাঁশকুড়া থানার আইসি-র উদ্দেশে লেখা অভিযোগপত্রে মৃত নাবালকের মায়ের অভিযোগ, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁকে এবং তাঁর মেয়েকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। অভিযোগপত্রে বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মীর নামও উল্লেখ করেছেন অভিযোগকারিণী। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার বাড়িতে এসে চড়াও হয়। আমাকে কেস তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আমার ছেলের মতো আমার মেয়ের অবস্থা করে দেবে বলে। আমাকে আর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে দেবে বলে।’’

    পাঁশকুড়া থানার পুলিশ সূত্রে খবর, লিখিত অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

    গত ১৮ মে পাঁশকুড়া থানার গোঁসাইবেড় এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতের মিষ্টির দোকান থেকে চিপ্‌সের প্যাকেট চুরির অভিযোগ উঠেছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণেন্দু দাসের বিরুদ্ধে। বাইক নিয়ে পিছু ধাওয়া করে রাস্তায় কিশোরকে শাসানোর অভিযোগ ওঠে শুভঙ্করের বিরুদ্ধে। অপমান সহ্য করতে না পেরে ওই কিশোর বাড়িতে রাখা কীটনাশক খেয়ে নেয় বলে দাবি পরিবারের। প্রায় চার দিন চিকিৎসা চলার পর গত ২২ মে হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়।

    পরে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনেন শুভঙ্কর। যেখানে দেখা যায়, কিশোরকে দোকানে এনে তাঁর মা সুমিত্রা দাসও শাসন করেছিলেন। তবে মৃতের পরিবার-সহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুভঙ্করের কাছে অপমানিত হয়েই কীটনাশক খেয়েছিল কৃষ্ণেন্দু। এই ঘটনায় শুভঙ্করের গ্রেফতারির দাবিতে জোরদার আন্দোলন শুরু হয় এলাকা জুড়ে। তার পরেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।

    মৃত কিশোরের মা সুমিত্রা দাস বলেন, ‘‘মামলাটা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমার বাড়িতে এসে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে আট জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)