রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম যাতে বন্ধ রাখা হয়, এই মর্মে নোটিস জারি করতে উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এ দিন মামলাকারীর তরফে এই আবেদন করা হয়েছিল। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন, উচ্চশিক্ষা দপ্তর আগে একটি মামলায় হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল, রাজ্যের কোনও কলেজে ছাত্র নির্বাচন হয়নি। ফলে সেখানে কোনও বৈধ ছাত্র সংসদও নেই। তাই সব কলেজে ইউনিয়ন রুম খোলা থাকার প্রয়োজনও নেই।
ওই যুক্তি শুনে বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ইউনিয়ন রুম বন্ধ করার জন্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে নোটিস জারি করতে হবে। কর্তৃপক্ষ ওই রুম তালা দিয়ে রাখবেন। জরুরি কোনও কারণ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে তা জানিয়ে চিঠি দিয়ে তালা খোলার জন্য আবেদন করতে হবে।
উল্লেখ্য, কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের সঙ্গে টিএমসিপি-র যোগ থাকার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধী দলগুলির নেতারা। তাঁদের প্রশ্ন, কবে হবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন? যদিও মনোজিৎ যে এখন আর সংগঠনের কেউ নন, এই দাবি করেন টিএমসিপি-র রাজ্য নেতৃত্ব।
অতীতে ছাত্র সংসদের ভোট করার দাবিতে উত্তাল হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছরের ৯ অগস্ট আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের ঘটনার পরে থ্রেট কালচার নিয়ে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। সেই সময়েও তাঁদের অন্যতম দাবি ছিল দ্রুত ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আদালতের এই নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিকাশ ভবনের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা, বর্ধমান, বিদ্যাসাগর, উত্তরবঙ্গ এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে শেষবারের মতো ছাত্র ভোট হয়েছিল ২০১৭ সালে এবং ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্সি এবং ২০২০ সালে যাদবপুরে ছাত্র ভোট হয়েছিল। তার পরে কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ছাত্র নির্বাচন হয়নি।