এই সময়: সোমবারের বৃষ্টিতে কী ভাবে জল ঢুকল কলকাতা মেট্রোর ট্র্যাকে? কী করেই বা দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ব্যাহত হলো কলকাতা মেট্রোর ব্লু-লাইনের পরিষেবা? আগামী দিনে এমন ঘটনা এড়াতে সম্ভাব্য পদক্ষেপই বা কী হতে পারে?
এ-সব বিষয়ে অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট জমা দিল মেট্রোর আধিকারিকদের বিশেষ দল। রিপোর্ট জমা পড়েছে জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডির কাছে।
২৮ জুন কলকাতা মেট্রোর ব্লু-লাইনের কালীঘাট ও যতীন দাস পার্ক স্টেশনের মাঝের সুড়ঙ্গে একটি পাইপ ফেটে ট্র্যাকে জল জমে যাওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ ট্রাঙ্কেটেড সার্ভিস চলে।
এর দু’দিনের মাথায় ৩০ জুন সকাল পৌনে ন’টা থেকে ১০টা ৫৮ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় পার্ক স্ট্রিট থেকে সেন্ট্রাল পর্যন্ত অংশের আপ ও ডাউন — দুই লাইনেই মেট্রো চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল।
সে দিন সকালের বৃষ্টিতে হঠাৎই জল ঢুকতে শুরু করে সেন্ট্রাল ও চাঁদনি চক স্টেশনের মাঝে। দিনের যে সময়ে মেট্রোয় সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে, সেই সময়ে এমন ঘটনায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় সেন্ট্রাল থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত অংশে আপ ও ডাইন লাইনে মেট্রো পরিষেবা। ব্যস্ত সময়ে মেট্রো পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটায় চরম দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী।
এ বছর যে প্রথম এমন ঘটল, তা-ও নয়। ২০২৪–এ পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে বৃষ্টির জল ঢুকে হাঁটু পর্যন্ত ডুবে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। পাম্প এনে জল বার করতে হয়েছিল। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো গত ৩০ জুন। কেন এই ধরনের ঘটনা বার বার ঘটছে?
যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের কী অভাব ঘটছে? নাকি এমন কোনও ঘটনা যার উপরে মেট্রোর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই? তারই জবাব পেতে কলকাতা মেট্রোর আধিকারিকরা সেন্ট্রাল ও চাঁদনি চকের মাঝের ওই বিশেষ জায়গাটি পরিদর্শন করেন।
আগামী দিনে জলের প্রবেশ রুখতে কী করা উচিত, সে বিষয়ে তাঁরা একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন জিএম–এর কাছে। যদিও সেই রিপোর্টে কী রয়েছে, সে বিষয়ে কলকাতা মেট্রো কিছু জানায়নি।