• 'যাঁরা নতুন এসেছেন, মনে রাখবেন...' নব্য BJP-দের তাত্‍পর্যপূর্ণ বার্তা 'আদি' শমীকের
    আজ তক | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র সবচেয়ে পুরনো মুখগুলির মধ্যে অন্যতম শমীক ভট্টাচার্য। সেই শমীক আজ রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি পদে। আর সভাপতি পদে অভিষেকের দিনই বিজেপি-র পুরনো কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন। স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন, দল বাড়াতে গেলে নতুনদের প্রয়োজন।

     একাধিক হেভিওয়েট নেতা বিজেপি-তে যোগ দেন

    ২০২১ সালের নির্বাচনে বাংলায় প্রথমবার বিরোধী দলের তকমা পায় বিজেপি। এমনকী বঙ্গ বিজেপি-র ইতিহাসে সবচেয়ে ভাল রেজাল্ট হয়েছিল। সেই সময় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। ২০২১ সালের ভোটের কয়েক বছর আগে থেকেই দেখা গিয়েছিল, অন্য দল থেকে প্রচুর নেতা, নেত্রী বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস থেকেও একাধিক হেভিওয়েট নেতা বিজেপি-তে যোগ দেন। সেই দলে বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ছিলেন। ওই সময় বিজেপি-র বহু পুরনো নেতা কর্মী অভিযোগ তোলেন, নতুন যাঁরা বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের রমরমা বেশি। গুরুত্বও বেশি দেওয়া হচ্ছে। আদি ও নব্য বিজেপি-র দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
     
     আদি ও নব্য, দুই বিজেপি নেতা-কর্মীদেরই তাত্‍পর্যপূর্ণ বার্তা 

    এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যে দলের সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে আদি ও নব্য, দুই বিজেপি নেতা-কর্মীদেরই তাত্‍পর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন শমীক। বললেন, 'যাঁরা পুরনো, তাঁরা মনে রাখবেন, নতুন মানুষ পার্টিতে না এলে পার্টি বাড়বে না। সমাজের সব স্তরের মানুষের প্রয়োজন আছে। কুমোরটুলি থেকে অর্ডার দিয়ে আমরা মানুষ তৈরি করে নিয়ে আসতে পারব না।' একইসঙ্গে নতুদের শমীকের বার্তা হল,  'যাঁরা নতুন এসেছেন, তাঁরাও মনে রাখবেন, ওই পুরনো মানুষগুলো পরাজয় নিশ্চিত জেনেও, জমানত বাজেয়াপ্ত হবে জেনেও পতাকাটা ধরে রেখেছিলেন, প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন, তাঁদের জন্যই আজ বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে এই জায়গায় পৌঁছেছে।'

    মাত্র ৮ মাস পর বিধানসভা নির্বাচন

    সব কিছু ঠিক থাকলে আর মাত্র ৮ মাস পর বিধানসভা নির্বাচন। একেবারে ফাইনাল পরীক্ষার মুখে শমীককে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হল। শমীকের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল, আদি ও নব্য বিজেপি-র দ্বন্দ্ব মিটিয়ে একসঙ্গে সবাইকে ভোটের ময়দানে নামানো। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র নীচুতলার সংগঠনে অনেক ফাঁক। সেই ফাঁকগুলি ভরাট করে পুরনো ও নতুনদের নিয়ে চলতে হবে শমীককে। 

    একই সঙ্গে শমীকের কথায় একটি ইঙ্গিত মিলল, তা হল, তা নিজে রাজ্য বিজেপির পুরনো নেতা হলেও ভোটের ময়দানে ভাল ফল করতে নতুনদের নিয়ে তাঁর কোনও ছুঁত‍মার্গ নেই।
  • Link to this news (আজ তক)