বধূ নির্যাতনকে কেন্দ্র করে মাথাভাঙায় দুই পরিবারের সংঘর্ষ, মৃত ১ জখম ৬
আজ তক | ০৩ জুলাই ২০২৫
Coochbehar Family Clash Dead: বধূ নির্যাতনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের বিবাদ প্রথমে বচসায় পরে হাতাহাতিতে পরিণত হল। এরপর গোলমাল এতটাই বেড়ে যায় যে রীতিমতো সংঘর্ষের চেহারা নেয়। সংঘর্ষের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও দুই পরিবারের ৬ জন জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।খবর পেয়ে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ (Mathabhanga Police) ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। জখমদের মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের মাথাভাঙার বৈরাগীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম দেবেশ্বর বর্মন (৬২)। দেবেশ্বরের ছেলে তপনের অভিযোগ, বৌদির বাপের বাড়ির লোকজন এসে এদিন সকালে আচমকাই তাঁদের ওপর চড়াও হয়। লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। মারের আঘাতেই তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, অনাথবাবুর দাবি, এদিন সকালে মেয়ের খবর নিতে বাড়িতে যাওয়ামাত্রই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁদের ওপর চড়াও হন। তাঁদের মারধর করা হয়।
বৈরাগীরহাটেরই দুটি পাড়ার বাসিন্দা অনাথ বর্মনের মেয়ে মাম্পি এবং দেবেশ্বর বর্মনের ছেলে তাপস। ছয় বছর তাদের আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মাম্পিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ বাপের বাড়ির লোকজনের। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। সোমবার মাম্পি বাপের বাড়ি যান এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শ্বশুরবাড়ি ফিরে এলে তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে প্রতিবেশী একজনের বাড়িতে থাকেন তিনি।
ঘটনার কথা মাম্পি বাপের বাড়িতে জানালে এদিন সকালে মাম্পির বাবা অনাথ বর্মন সদলবলে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে হাজির হন। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে বচসা তারপর উভয় পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম হন দেবেশ্বরবাবু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।