• শুধু ধর্ষণ নয়, এক বন্ধুকে ব্লেডও মেরেছিল মনোজিৎ, ফের উঠছে ভয়াবহ অভিযোগ
    আজ তক | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মনোজিৎ মিশ্রকে ঘিরে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এল। শুধু যৌন নিগ্রহই নয়, সহপাঠীদের উপর ভয়ঙ্কর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এক প্রাক্তন ছাত্র দাবি করেছেন, মনোজিৎ এবং তার চক্র কলেজে ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছিল। যেখানে ভয়, হুমকি আর নিপীড়ন ছিল রোজকার ঘটনা।

    এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্র জানান, 'যে কেউ তার অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলত, তাঁকে মনোজিৎ ও তার লোকজন শারীরিকভাবে আক্রমণ করত। কেউ কেউ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ত, আর যারা প্রতিবাদ করত, তাদের উপর চালানো হতো শারীরিক নির্যাতন।'

    ছাত্রের অভিযোগ, একদিন ক্লাস শেষে বের হওয়ার সময় মনোজিতের লোকেরা তাঁর এক বন্ধুকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। 'ওকে ব্লেড ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছিল। এরপর আমাদের হুমকি দেওয়া হয়, বলা হয়, যদি আর মুখ খুলি, তাহলে পরের বার মেরে ফেলা হবে।'

    অভিযোগ, হামলার ভিডিও দেখিয়ে ওই ছাত্রদের চুপ করিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। এই চরম ভয় আর আতঙ্কের পরিবেশে ওই ছাত্র এবং তার বন্ধু গত দশ মাস ধরে কলেজে যেতেও পারেননি।

    ২৮ জুন মনোজিৎ মিশ্র ও তার দুই সহযোগীকে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, মনোজিৎ আগে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা প্রত্যাখ্যান করার পরই এই পাশবিক হামলা চালানো হয়। ঘটনার সময় আরও দুই ছাত্র উপস্থিত ছিল বলেও অভিযোগ।

    এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর বার কাউন্সিল দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। মনোজিতের আইনজীবী লাইসেন্স বাতিল করে তাকে আইন পেশা থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

    এখন গোটা রাজ্যের মধ্যে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। একজন আইনের ছাত্র কীভাবে এমন ভয়ংকর অপরাধচক্র গড়ে তুলতে পারল? কলেজ প্রশাসন, শিক্ষক সমাজ ও সহপাঠীরা কীভাবে এতদিন এড়িয়ে গেল এমন কার্যকলাপ? পুলিশি তদন্তে কী কী তথ্য সামনে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
     

     
  • Link to this news (আজ তক)