• পশ্চিম মেদিনীপুরের সঙ্গে ঝাড়গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জলের স্রোতে ভেঙে গিয়েছে কংসাবতী নদীর উপর আমদই-কঙ্কাবতী ফেরিঘাটের সাঁকো
    বর্তমান | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: কংসাবতী নদীর উপর আমদই-কঙ্কাবতী ফেরিঘাটের বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম ব্লকের চুবকা গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার যোগাযোগ।মানিকপাড়া, সরডিহা ও চুবকা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা নৌকা করে নদী পারাপার করছেন। মানিকপাড়া খালশিউলি পথে যথেষ্ট বাস নেই।স্থানীয় বাসিন্দারা আমদই ও কঙ্কাবতী নদীর ঘাটে সেতু তৈরির দাবি জানাচ্ছেন।প্রতিবছর আমদই-কঙ্কাবতী ঘাটের মধ্যে ফেয়ার ওয়েদার সেতু তৈরি করা হয়। বর্ষায় জলের স্রোত বাড়লে সাঁকো ভেঙে যায়। কংসাবতী নদীতে জল বেড়ে যাওয়া চুবকার আমদই এলাকার বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছে।ঝাড়গ্ৰাম ব্লকের সরডিহা, মানিকপাড়া, চুবকা এলাকার বাসিন্দারসাঁকো দিয়ে অল্প সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে পৌঁছে যান। বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।স্কুল কলেজের পড়ুয়া, শিক্ষক, অফিসকর্মী থেকে সকলস্তরের মানুষকে দীর্ঘক্ষণ নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। গন্তব্যস্থলে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছতে পারছেননা। ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি নিয়ে ভারী মালপত্র নৌকায় পারাপার করছেন। মানিপাড়া খালশিউলি হয়ে সড়কপথে যথেষ্ট সংখ্যক বাস নেই।বাসিন্দাদের ঘুরপথে ৩৭ কিমি পথ অতিক্রম করে পশ্চিম মেদিনীপুরে যেতে হচ্ছে। যাতায়াতের সমস্যা ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।জনপ্রতিনিধিরা মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগের কথা মেনে নিচ্ছেন। সাংসদ কালীপদ সরেন সেতু তৈরির দাবি উত্থাপন করেছেন।স্থায়ী সেতুর অভাবে বছরের পর বছর এলাকার মানুষ যাতায়াতের সমস্যায় পড়ছেন।ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পূর্ণ রাণা বলেন, কংসাবতী নদীর উপর আমদই ও কঙ্কাবতী ফেরিঘাটের বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছে।পশ্চিম মেদিনীপুর যাওয়ার জন্য এই এলাকার মানুষ সারা বছর বাঁশের সেতুর উপর নির্ভর।স্কুল,কলেজ, অফিস,হাসপাতাল,বাজার যাওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের পশ্চিম মেদিনীপুরে যেতে হয়। সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় মানুষজনকে নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে। নদীর উপর কংক্রিটের সেতুর খুব প্রয়োজন।মানিকপাড়ার বাসিন্দা ঝাড়গ্রাম জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মহাশিস মাহাত বলেন, এলাকার বহু মানুষ দিনমজুরের কাজে পশ্চিম মেদিনীপুরে যান। দুই জেলার ব্যবসায়ীরা তাঁদের মালপত্র নিয়ে বাজারে আসেন। মালপত্র নিয়ে তাঁদের নদী পারাপার করতে হচ্ছে। বাজারে ঠিক সময়ে পৌঁছতে পারছেননা।মানিকপাড়া থেকে খালশিউলি ও সাহাচক পর্যন্ত ঝকঝকে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই রুটে বাস চলেনা বললেই চলে। নদী ও সড়কপথে যাতায়াত দিন দিন কঠিন হয়ে পড়েছে।রাউতারা এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, একটা বা দুটো নৌকা পারাপার করছে। নদী পেরনোর জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম শহরে যেতে গেলে এক ঘণ্টা সময় লাগে। সেখানে কঙ্কাবতী ঘাট হয়ে অল্প সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে যাওয়া যায়।  কংক্রিটের সেতুর জন্য দাবি তোলা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেতু নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডী বলেন, কেন্দ্র থেকে আমদই কঙ্কাবতী ঘাটের উপর সেতু তৈরির বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে।পূর্তদপ্তরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।মানিকপাড়া খালশিউলি পথে বাসের সংখ্যা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে জেলা পরিষদে প্রাথমিক স্তরেআলোচনা আমরা করছি। যাতায়াতের দুর্ভোগে কমাতে সার্বিকভাবে আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। 
  • Link to this news (বর্তমান)