• রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম আপাতত বন্ধের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
    বর্তমান | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কসবায় ল’কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য। ইতিমধ্যেই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। কলকাতা হাইকোর্টেও অনেকগুলি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাগুলিরই আজ, বৃহস্পতিবার শুনানি ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল শুনানি। যার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ইউনিয়ন রুম বন্ধ করার জন্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে নোটিস জারি করতে হবে। কর্তৃপক্ষ ওই রুম তালা দিয়ে রাখবেন। জরুরি কোনও কারণে বা সরকারি কাজে ইউনিয়ন রুম খোলার প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে অনুমতি নিয়ে খুলতে হবে। প্রয়োজনে চিঠি দিয়ে ইউনিয়ন রুমের তালা খোলার জন্য আবেদন করতে হবে। এক মামলাকারী এদিন আদালতে জানান, রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিয়ন রুম যাতে বন্ধ রাখা হয় সেই মর্মে একটি নোটিস জারি করা হোক।কারণ, উচ্চশিক্ষা দপ্তর একটি অন্য মামলাতে নিজেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল কোনও কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। তাই কোনও কলেজেই বৈধ ছাত্র সংসদও নেই। তাই ওই মামলাকারীর দাবি ছিল এই মর্মে সমস্ত ইউনিয়ন রুম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হোক। মামলাকারীর দাবিকেই মান্যতা দিয়ে এদিন রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিয়ন রুম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আপাতত বন্ধ থাকবে সমস্ত ইউনিয়ন রুম। পাশাপাশি রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকা কি? সেটাই হলফনামা আকারে রাজ্যকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কসবা ল’কলেজে গণধর্ষণের মামলায় আদালত এদিন বেশ কয়েকটি নির্দেশ দেন। যার মধ্যে বলা হয়েছে, তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সেই রিপোর্ট জমা দেবে রাজ্য। পাশাপাশি এই মামলার কেস ডায়েরিও তলব করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাজ্য ও কলেজের কাছে বেশ কয়েকটি বিষয়ে জানতে চেয়েছে আদালত। যেগুলি হল- ১) একজন প্রাক্তনী কীভাবে কলেজে প্রবেশাধিকার পায়? ২) কলেজের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও কেন কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন? ৩)অনধিকার প্রবেশ আটকাতে কী ব্যবস্থা আছে? ৪) আগে অভিযোগ জানানো হলেও কেন কলেজ এবং পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি? ৫) সিসিটিভি বা অন্য নজরদারি ব্যবস্থায় কেন খামতি ছিল? এই বিষয়ে সমস্ত উত্তর রাজ্য ও কলেজকে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে বলেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অপরদিকে এদিন আদালতে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন, গণধর্ষণের তদন্তে সিট সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
  • Link to this news (বর্তমান)