• বৈদ্যবাটিতে যুগলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • যুগলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলি জেলার বৈদ্যবাটিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদের নাম মণীশ ভাদুড়ি (৩৫) ও অপর্ণা মাঝি (৩২)। বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীতারাম বাগান এলাকার একটি বাড়িতে ৬ বছর ধরে ভাড়া থাকতেন মণীশ ও অপর্ণা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বুধবার রাত ৩টে নাগাদ ওই বাড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পান তাঁরা। তারপর সেখানে গিয়ে দেখেন, মণীশ ও অপর্ণা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন।

    এরপর প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মণীশ ও অপর্ণাকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কিছুক্ষণ পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মণীশ একটি ঢালাই কারখানায় কাজ করতেন। আর অপর্ণা পরিচারিকা ছিলেন। দু’জনে সকালে কাজে বেরিয়ে যেতেন। রাতে বাড়ি ফিরতেন। কীভাবে মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেব শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।

    ঘটনাস্থলে যান চন্দননগর পুলিশের ডিসি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস, এসিপি শুভঙ্কর বিশ্বাস, শ্রীরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুখময় চক্রবর্তী। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মণীশ নেশা করতেন। তা নিয়ে অপর্ণার সঙ্গে মাঝেমধ্যে অশান্তি হত। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বুধবারও তেমন ঝামেলা হয়। সেই সময় ধারালো কোনও কিছু দিয়ে তাঁরা একে অন্যকে আঘাত করেন।

    যুগলের প্রতিবেশী শুভেন্দু মাঝি জানান, বুধবার রাত ৩টে নাগাদ হঠাৎ মণীশদের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন দু’জন। তখনও তাঁরা বেঁচে ছিলেন। ওই অবস্থায় বেশ কিছু ক্ষণ ছটফট করতে করতে মারা যান। প্রতিবেশীদের অনুমান, নিজেরা মারামারি করার সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে।

    চন্দননগর পুলিশের ডিসি অর্ণব বিশ্বাস বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে বাইরের কেউও এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। রাতে তৃতীয় কেউ ওই বাড়িতে এসেছিলেন কি না, সে সবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)