মালদহের আবাসিক স্কুলে নাবালকের রহস্যমৃত্যু, কর্তৃপক্ষের অত্যাচারে প্রাণহানি?
প্রতিদিন | ০৩ জুলাই ২০২৫
বাবুল হক, মালদহ: মালদহের আবাসিক স্কুলে নাবালকের রহস্যমৃত্যু। কর্তৃপক্ষের অত্য়াচারেই মৃত্যু বলেই দাবি পরিবারের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে মৃতের পরিবার ও অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের বয়স ১৩ বছর। মালদহের ভূতনির বাসিন্দা সে। মানিকচকের একটি বেসরকারি আবাসিক স্কুলে পড়ত সে। প্রায় তিনবছর ধরে সেখানেই থাকে পড়ুয়া। বুধবার গভীর রাতে ঘর থেকে উদ্ধার হয় নাবালকের ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়েই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। রাতেই স্কুলে ছুটে যান মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এরপরই বিস্ফোরক দাবি করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, কর্তৃপক্ষ তাঁদের সন্তানের উপর অকথ্য অত্যাচার করত। সেই কারণে ছুটিতে বাড়ি গেলে ফিরতে চাইত না সে। কিন্তু বিষয়টা যে এতটা গুরুতর তা বুঝতে পারেনি পরিবার। অভিযোগ, সেই অত্যাচারের জেরেই নাকি মৃত্যুর ঘটনা।
এই ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ের অন্য়ান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরা ছুটে যান। প্রত্যেকের চোখেমুখে উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট। ঘটনার পর্যাপ্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে মৃত্যুর তদন্তে নেমে প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের কর্ণধার তথা প্রধান শিক্ষক সাজির হোসেনকে মানিকচক থানার পুলিশ ডেকে পাঠায় এবং লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লক্ষ্মীরানি সরকার জানিয়েছেন, রাতে চিৎকার করা নিয়ে সপ্তম-অষ্টম শ্রেণির ছাত্রদের ডাকা হয়। অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্র চিৎকার করেছিল তা স্বীকারও করে। তা নিয়ে বকাঝকা করা হলেও কোনওভাবেই মারধর করা হয়নি। ফলে অত্যাচারের জেরে মৃত্যুর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি কর্তৃপক্ষের।