পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মিনটু পারুই। বছরখানেক আগে তার প্রথম স্ত্রী মিন্টুকে ছেড়ে চলে যান। পরে আইনি বিচ্ছেদও হয়। এরপরই বিবাহবিচ্ছিন্না এক মহিলাকে বিয়ে করে মিন্টু। ওই মহিলার আগের পক্ষের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। মেয়েকে নিয়েই দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে থাকছিলেন মহিলা। অভিযোগ, এরই ফাঁকে মিন্টু তার নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করে। এমনকী এই কথা কাউকে জানালে নাবালিকাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। মিন্টুর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, একবার নয় একাধিকবার নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে সে।
লাগাতার নির্যাতনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। তারপর মা জিজ্ঞাসা করতেই সব বিষয় খুলে বলে সে। এরপই মা নির্যাতিতা কন্যাসন্তানকে নিয়ে হাড়োয়া থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্ত সৎ বাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। স্বামীর কঠোর শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা।