• ছাত্রভোট না হলে খোলা যাবে না ইউনিয়ন রুম, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের
    প্রতিদিন | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: ছাত্র নির্বাচন না হলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম বন্ধ। উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চের। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অনুমতি ছাড়া ইউনিয়নের রুম খোলা যাবে না। তবে এই নির্দেশ সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের জন্য প্রযোজ্য নয়। কবে ছাত্র নির্বাচন হবে, তা জানতে রাজ্যের হলফনামা তলব আদালতের।

    এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য? আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে। উল্লেখ্য, কসবার ল’ কলেজে গণধর্ষণের ঘটনার পর ছাত্রভোট নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় এদিন তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। 

    ইউনিয়ন রুম বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন মামলাকারীর আইনজীবী। তাঁর যুক্তি, উচ্চশিক্ষা দপ্তর আগের একটি মামলায় হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, রাজ্যের কোনও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ফলে ছাত্র সংসদ নেই। তাই সব কলেজ ইউনিয়ন রুম খোলা থাকার কোনও কারণ নেই। এই সওয়ালের প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, সব কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ইউনিয়ন রুম বন্ধ করে দিতে উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে নোটিস জারি করতে হবে। কর্তৃপক্ষ ওই রুম তালা বন্ধ করে রাখবে। কোনওরকম আমোদের জন্য ওই ঘর ব্যবহার করা যাবে না। জরুরি কোনও প্রয়োজনে ঘর খুলতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে যথাযথ কারণ জানিয়ে চিঠি দিয়ে আবেদন করতে হবে।

    প্রসঙ্গত, বছর আট আগে, ২০১৭ সালে শেষবারের মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। এরপর বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি কলেজে ভোট হলেও সামগ্রিকভাবে কিছু হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা জানিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের পুজোর পরই হতে পারে ছাত্রভোট, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। হাই কোর্টও অবিলম্বে ছাত্র ভোটের নির্দেশ দিয়েছিস রাজ্যকে। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও (Bratya Basu) একাধিকবার বলেছিলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে উদ্যোগী তাঁরা। পরিস্থিতি বুঝে নির্বাচন করানো হবে। বারবার বিরোধী ছাত্র  সংগঠনগুলি এনিয়ে সরব হয়েছেন। পথে নেমে আন্দোলন করেছেন। কিন্তু তারপরেও বিশবাঁও জলেই রয়েছে গিয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের ভোটের বিষয়টি। সম্প্রতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য় সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য় জানিয়েছেন, করোনার জন্য কলেজের পড়াশোনা বাধা পেয়েছে। একইসঙ্গে ভোটও করা যায়নি। তাই এতদিনের ব্যবধান তৈরি হয়েছে। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)