• ল’ কলেজে গণধর্ষণের তদন্তে রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত তদন্তকারীদের
    এই সময় | ০৩ জুলাই ২০২৫
  • কসবা-কাণ্ডে এ বার কলেজের পরিচালন সমিতির রেজিস্টার বুক বাজেয়াপ্ত করলেন তদন্তকারীরা। গত মঙ্গলবারের আগে শেষ কবে পরিচালন সমিতি বৈঠকে বসেছিল, জানতে চান তাঁরা। রেজিস্টার থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলেও মনে করছেন লালবাজারের গোয়েন্দা কর্তারা। গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এই আইন কলেজেরই অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। তাঁর চাকরি পরিচালন সমিতির সুপারিশেই হয়েছিল কি না, তা দেখার বিষয়। যদি হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি কি উঠেছিল? যদি কেউ আপত্তি জানান, তা কার্যবিবরণী বা মিনিটস-এ কি নথিবদ্ধ হয়েছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তরের ক্ষেত্রে রেজিস্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    মনোজিৎ ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলেই দাবি কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, আলিপুর আদালতে তারা যে নথি জমা দিয়েছে, তাতে 'প্রভাবশালী-র উল্লেখ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, পুলিশ যাতে কোনও ভাবেই তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে, শেষ অবধি সেই চেষ্টা করেছিল মনোজিৎ।

    গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে ২৫ জুন। ২৬ জুন রাতে গ্রেপ্তার হয় মনোজিৎ মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জ়ইব আহমেদ। এই ২৪ ঘণ্টায় তারা কী করেছিল, সে দিকেই নজর তদন্তকারীদের।

    পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় যথাযথ তথ্য দিচ্ছে না মনোজিৎ। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও কি চলছে? বৃহস্পতিবার তাদের জেরা করা হবে।

  • Link to this news (এই সময়)