রাস্তায় ফেলে কিল-চড়-ঘুষি। প্রকাশ্যে মারধর করা হয় খড়্গপুরের প্রবীণ বাম নেতা অনিল দাসকে। স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলের বিরুদ্ধে খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অনিল। ঘটনার ৭২ ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে। বিচার চেয়ে এ বার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওই বাম নেতা। অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে শোকজ় করেছে দল। যদিও অভিযুক্ত নেত্রীর এখনও উত্তর আসেনি বলে জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর। পাল্টা অনিল দাসের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বেবি।
সোমবার সকালে প্রকাশ্য রাস্তায় অনিল দাসকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। গায়ে ঢেলে দেওয়া হয় নীল রং। ঘটনার ছবি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট না হয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অনিল। তাঁর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ‘এই সময় অনলাইন’-কে বলেন, ‘বুধবার উনি এসেছিলেন। মামলা দায়ের হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবার বা বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা উঠতে পারে।’
প্রহৃত বাম নেতা অনিল দাস ছাড়াও এফআইআর করা হয়েছে খড়্গপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও। সমাজমাধ্যমে সেই এফআইআর নম্বর (311/2025) জানিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা।
পাশাপাশি দলের তরফে অভিযুক্ত নেত্রীকে শোকজ় করা হয়েছিল। তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। সেই সময়ও অতিক্রান্ত। বৃহস্পতিবার সুজয় বলেন, ‘এখনও উত্তর আসেনি। বুধবার উনি শোকজ় নোটিস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। পরবর্তীতে কী হচ্ছে আমরা তা আপনাদের জানাব।’
অনিল দাসের ছেলে অনিরুদ্ধ দাস বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘পুলিশ যে পদক্ষেপ করছে না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমার বাবা নিগৃহীত হয়েছেন। তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অথচ, তাঁর বিরুদ্ধেই একটি মিথ্যা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগই ভিত্তিহীন। শুধুমাত্র পাল্টা এফআইআর দায়ের করার জন্যই এমনটা করা হয়েছে। তাই আমরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছি।’ বাম নেতা অনিল বলেন, ‘পুলিশ উপরে ভরসা নেই। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না বুঝতে পেরেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছি। বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা আছে। নিশ্চয়ই বিচার পাব।’