• সিদিকুল্লাকে কালো পতাকা, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ মন্ত্রীর
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৪ জুলাই ২০২৫
  • রাজ্যের মন্ত্রী সিদিকুল্লা চৌধুরীকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ। এই ঘটনা ঘিরে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল। মন্ত্রীর সামনে ‘গো ব্যাক’ স্লোগনও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর চলল মন্ত্রীর গাড়িতেও। মন্ত্রীকে ‘চিটিংবাজ-ধাপ্পাবাজ’ বলেও আক্রমণ করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। দলীয় কর্মীদের একাংশের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদিকুল্লা চৌধুরী। মন্ত্রীর দাবি, ‘বিক্ষোভকারীরা কেউ স্থানীয় নন। তাঁদের ভাড়া করে আনা হয়েছে।’ গোটা ঘটনায় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন তিনি।

    মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আগে বৃহস্পতিবার মন্তেশ্বরে যান তিনি। তাঁর কনভয় মালডাঙা এবং মন্তেশ্বর বাজার এলাকায় পৌঁছোতেই হাতে ঝাঁটা, কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েক জন। তোলা হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। মন্ত্রীকে ‘চিটিংবাজ-ধাপ্পাবাজ’ বলেও আক্রমণ করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। সেই সময়ে ইট-রড-লাঠি দিয়ে হামলা হয় মন্ত্রীর গাড়িতে। কনভয়ে থাকা মোট পাঁচটি গাড়িতে হামলা চলেছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সিদ্দিকুল্লা গত চার বছর ধরে এলাকার খোঁজখবর রাখেননি। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনও কাজ হয়নি।

    সূত্রের খবর, মন্ত্রীকে দেখেই কালো পতাকা হাতে নিয়ে এগিয়ে আসেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রফিকুল ইসলাম শেখ। তুমুল চিৎকার শুরু করেন তাঁরা। কালো পতাকা দেখাতে থাকেন। মাঝে একবার ঘুরে দাঁড়িয়েও যান ক্ষুব্ধ মন্ত্রী। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আহমেদ হোসেনের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশের সামনে গুণ্ডাবাহিনী তাঁকে কালো পতাকা দেখায়। মন্ত্রীর দিকে তেড়ে আসেন। যে সময় ঘটনা ঘটেছে, সেই সময় পুলিশ চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল। পুলিশ ইচ্ছা করলেই তাদের সরিয়ে দিতে পারত। কিন্তু তা করেনি।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, মন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে প্ল্যাকার্ড ছোড়া হয়, গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকী কিছুটা ধাক্কাধাক্কিও চলে বলে অভিযোগ। সিদ্দিকুল্লার দাবি, এই ঘটনায় তাঁর হাতের আঙুলে চোট লেগেছে। জামায় রক্তের দাগও রয়েছে। গাড়িতে ডবল কাচ না থাকলে, বড় কিছু হয়ে যেতে পারত। ঘটনার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি খুনের চেষ্টার অভিযোগও তোলেন। এদিকে মন্তেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘সবার চাল-গমের প্রয়োজন হয় না। কিছু মানুষের সার্টিফিকেটেরও দরকার পড়ে। কিন্তু তা থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা দলীয়ভাবেও সিদ্দিকুল্লাকে পাশে পাইনি, সাধারণ মানুষ হয়েও সাহায্য পাইনি।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)