সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: প্রশাসনের নাকের ডগায় চীনা মেশিন দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভুটভুটি। মালবহনকারী এই অবৈধ গাড়ি জাতীয় ও রাজ্য সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভুটভুটির দৌরাত্ম্যে বাড়ছে দুর্ঘটনা। অথচ হুঁশ নেই প্রশাসনের।
মঙ্গলবার রাতে কুশমণ্ডির নানাহারপাড়ায় বাঁশবোঝাই ভুটভুটির সঙ্গে ছোট গাড়ির সংঘর্ষে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়। একই জায়গায় একমাস আগে রাতে অটোর সঙ্গে ভুটভুটির মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোচালকের মৃত্যু হয়। দিন দিন ভুটভুটির দৌরাত্ম্য বাড়লেও পুলিস এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ। গঙ্গারামপুরের শিক্ষক সর্বজিৎ গুহ বলেন, ভুটভুটির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রশাসনের।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুর, বালুরঘাট, তপন, কুমারগঞ্জ এলাকায় কমবেশি ২০টি গ্যারেজ রয়েছে। যেখানে নতুন ভুটভুটি তৈরি হচ্ছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে লোহার চাদরে তৈরি হয় ভুটভুটির বডি। এক সময় জলসেচের মেশিন লাগিয়ে তৈরি করা হত এই যান। পণ্য পরিবহণের জন্য চীনা পাওয়ার টিলারের ইঞ্জিন দিয়ে অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন তৈরি করা হচ্ছে ভুটভুটিকে। যার দাম দেড় থেকে তিন লাখ টাকা। অভিযোগ, ভুটভুটিতে ঠিকঠাক ব্রেক লাগে না। এভাবেই পণ্য নিয়ে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে ছুটছে ভুটভুটি। জেলাজুড়ে বিক্রিও বেশ ভালো। কেন বাড়ছে এর চাহিদা? অনেকে বলছেন, মালবাহী এই যান চালালে দিতে হয় না কোনও কর। বীমার ঝক্কি নেই। ভুটভুটির বিরুদ্ধে পরিবহণ দপ্তরের তরফে অভিযানে কোনও নির্দেশ না থাকায় এই অবৈধ যান এখন জাতীয় ও রাজ্য সড়কের দখলে। জেলা ট্রাফিক ডিএসপি বিল্বমঙ্গল সাহা বলেন, ভুটভুটির চালকদের নিয়মিত সচেতন করি। রাতে ভুটভুটিতে যাতে রিফ্লেক্টর ব্যবহার করা হয়, সেবিষয়ে চালকদের আমরা বলছি। জেলায় ভুটভুটি তৈরি করা হলে সেসব দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। বুনিয়াদপুর শহরেই তৈরি হচ্ছে অবৈধ ভুটভুটি।-নিজস্ব চিত্র