• কোচবিহারে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নির্বাচনে নজর শাসকদলের
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রথম নির্বাচনে কোচবিহারে ভোট দেবেন ৫৭ হাজার প্রতিনিধি সদস্য। জেলার ১২টি ব্লকে মোট ৫৭ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এই দলগুলিতে গড়ে ১০-১২ জন করে মোট প্রায় ছয় লক্ষ সদস্য রয়েছেন। যার অধিকাংশই মহিলা। তাই এই নির্বাচনের দিকে রাজনৈতিক মহলের নজর রয়েছে। তৃণমূল এই নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিয়ে দিয়েছে। এলাকায় ভালো ফল না হলে নেতৃত্বকে কোপের মুখে পড়তে হতে পারে। সিপিএমও পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে।

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ১২৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২৮ টি সোসাইটি রয়েছে। তারই অধীনে ৫৭ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী। এই বিরাট ভোট প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ১০ টি জায়গায় ভোট হয়েছে। জুলাইতে আরও ১০ জায়গায় হবে। আগস্টে হবে ৭২টি জায়গায়। সেই প্রক্রিয়া সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে যেতে পারে। বাকিটা পরবর্তী ধাপে হবে বলে জানা গিয়েছে।

    এই বিশাল সংখ্যক গ্রামীণ মহিলা মানে বিরাট ভোটব্যাঙ্ক। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পথচলা বাম আমলে শুরু হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যে ক্ষমতা বদলের পর সেখানে বামেদের রাশ আলগা হয়ে যায়। এখন তৃণমূল চাইছে এই প্রথম প্রতিনিধি নির্বাচনে কোনওভাবেই রাশ আলগা না করতে। গ্রামীণ ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখার জন্য এটা বড় একটা সুযোগও বটে। এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের পক্ষ থেকে রীতিমতো কোমর বেঁধে নামা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিঃশব্দে সংগঠনকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলই চেষ্টা চালাচ্ছে। 

    তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, যে সমস্ত মহিলারা বর্তমানে অঞ্চলের সঙ্ঘগুলি পরিচালনা করছেন, আমাদের কাছে খবর আছে, তাঁরা অনেকেই বামফ্রন্ট ও বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। এঁরা সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য নেতাদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে পারেন। যদি কোনও নেতৃত্ব তাঁদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যদি পুনর্বহাল রাখেন, তাহলে দল সেই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    সিপিএমের জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, ভোট যেভাবেই হোক, ওঁরা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ থাকে, তাহলে ওঁরা অন্তত গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন।

    বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নির্বাচন কোথায় কোথায় হচ্ছে, তা দেখে সিদ্ধান্ত নেব।
  • Link to this news (বর্তমান)