• জয়ন্তী নদীতে ড্রেজিংয়ের সিদ্ধান্ত সেচদপ্তরের
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জয়ন্তী নদীর ড্রেজিংয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তারপরেই পর্যটন কেন্দ্র জয়ন্তীর জনপদ ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলকে বাঁচাতে সেচদপ্তর অন্যান্য নদীর সঙ্গে জয়ন্তীতেও ড্রেজিংয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে রাজ্যের কাছে। পর্যটন কেন্দ্র হওয়ার সুবাদে জয়ন্তী নদীর ড্রেজিংয়ের বিষয়টিকে অগ্রাধিকারও দিয়েছে সেচদপ্তর। এখন শুধু রাজ্যের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা। 

    ২০১৮ সাল থেকে জয়ন্তী নদীতে পাথর ও ডলোমাইট উত্তোলনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতি বছর ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা ডলোমাইট ও নুড়ি পাথরে জয়ন্তীর নদীবক্ষ ভরাট হয়ে গিয়েছে। জয়ন্তী জনপদ থেকে নদীবক্ষ ৫ মিটার উঁচু হয়ে যায়। ফলে জলধারণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে ওই পাহাড়ি খরস্রোতা নদী। যার জেরে বর্ষার সময় জয়ন্তীর জল দুই কূল ছাপিয়ে জনপদ ভাসিয়ে দেয়। ওই নদীর প্লাবনে নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে জয়ন্তীর জনপদ।

    এছাড়া জয়ন্তী নদীর প্লাবনে প্রতি বছর বর্ষায় ক্ষতি হচ্ছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের তৃণভূমিরও। বর্ষায় জয়ন্তীর প্লাবনে কখনও কখনও মারা যায় বক্সার বন্যপ্রাণীরাও। ফলে জয়ন্তী নদীর ড্রেজিংয়ের দাবি উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের অন্যতম ডেস্টিনেশন জয়ন্তী পর্যটন কেন্দ্রকে বাঁচাতে সেখানকার বাসিন্দারাও দীর্ঘদিন ধরে ওই নদীর ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

    সেচদপ্তর সূত্রে খবর, জয়ন্তীর ড্রেজিংয়ের জন্য রাজ্য সরকার কোনও টাকা খরচ করবে না। রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে জয়ন্তীর ড্রেজিংয়ের বরাত দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থাকে। যে সংস্থা সবচেয়ে বেশি রেভিনিউ দেবে রাজ্য সরকারকে, তারাই বরাত পাবে। 

    সেচদপ্তরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মুখ্য নির্বাহী বাস্তুকার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, ড্রেজিংয়ের লক্ষ্যে ডুয়ার্সের অনেক নদীতেই সার্ভে করা হচ্ছে। ঘিস, লিস, ডায়না, রায়ডাক ও বাসরা সহ জয়ন্তী নদীকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে জয়ন্তীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। নদীগুলির ড্রেজিংয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রাজ্যে। এখন সবটাই নির্ভর করছে রাজ্যের সবুজ সঙ্কেতের উপর।
  • Link to this news (বর্তমান)