• সিউড়ি পুরসভায় ৩০ উপভোক্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: নির্দিষ্ট সময়েই হাউজিং ফর অল প্রকল্পের উপভোক্তারা টাকা হাতে পেয়েছিলেন। কিন্তু, কিছু উপভোক্তা এখনও এই প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজই শুরু করেননি। এই পরিস্থিতিতে সিউড়ি পুর কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছে। একাধিকবার উপভোক্তাদের চিহ্নিত করে মৌখিকভাবে জানানোও হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করার কথা বলা হয়েছিল। যদিও বাড়ি তৈরিতে ওই উপভোক্তাদের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকা হাতে পেয়েও কাজ না শুরু করার তালিকায় প্রায় ৩০ জন উপভোক্তা রয়েছেন। এবার পুর কর্তৃপক্ষ কড়া আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাড়ি তৈরির জন্য আরও ১৭ কোটি টাকা এসে পৌঁছেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেই টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।

    পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, বহু উপভোক্তা এখনও হাউজিং ফর অল প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করেননি। যদিও সকলেই কাজের জন্য সঠিক সময়ে টাকা পেয়েছেন। একাধিকবার সকলকেই দ্রুত কাজ শুরু করার কথা জানানো হয়েছে। এরপরও উপভোক্তারা কাজ শুরু না করলে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-’২০ থেকে ২০২১-’২২ পর্যন্ত তিন অর্থবর্ষ মিলিয়ে ৪৯৬০ জন উপভোক্তার নাম এই প্রকল্পের তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তিন অর্থবর্ষের উপভোক্তাদের মধ্যে অনেকেই এখনও বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করে উঠতে পারেনি। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে সবচেয়ে বেশি উপভোক্তা এখনও কাজ শেষ করতে পারেননি। প্রায় ৫০ শতাংশ উপভোক্তার বাড়ি তৈরির কাজ এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে। ২০১৯-’২০ এবং ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে ২০ শতাংশ করে উপভোক্তার বাড়ির কাজ এখনও বাকি রয়েছে। টাকা পাওয়া সত্ত্বেও ৩০ জন উপভোক্তা এখনও নির্মাণ শুরু করেননি। পুর কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, উপভোক্তারা সরকারি প্রকল্পের টাকা অন্য খাতে খরচ করেছেন। ফলে সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরি হয়নি। 

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় ফান্ড কম থাকায় হাউজিং ফর অল প্রকল্পে বাড়ি তৈরির কাজের গতি কমে এসেছিল। যদিও বহু উপভোক্তা প্রথম ধাপের টাকা হাতে পেতেই কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। বহুক্ষেত্রে লিন্টেল পর্যন্ত বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ফের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হতে চলেছে। 

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি কাজ শেষের জন্য সুডার তরফে ইতিমধ্যে ১৭ কোটি টাকা এসে পৌঁছেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেই টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। আগামী চার মাসের মধ্যে বাড়ির  বাকি কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)