বেলডাঙায় রোজ নিত্যযাত্রীদের আতঙ্ক জাতীয় সড়কের যানজট
বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: বেলডাঙায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজটের জেরে নাজেহাল জনজীবন। প্রায় প্রতিদিন ও রাতে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট হচ্ছে। তার উপর মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত কয়েকমাস ধরে ভাবতার পর থেকে জাতীয় সড়কে রাস্তার কাজ চলছে। খুব মন্থর গতিতে কাজ চলায় নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি বৃষ্টির জেরে রাস্তার বেশ কিছু অংশে জল জমে গিয়েছে। দু’টি সরু লেন দিয়ে কলকাতাগামী এবং কলকাতা থেকে বহরমপুরগামী সমস্ত গাড়ি যাতায়াত করছে। মঙ্গলবার সকালে যানজটের জেরে রাস্তায় যান চলাচল পুরো থমকে যায়। কয়েক ঘণ্টা ধরে যান চলাচল পুরো স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েন সাধারণ মানুষ। অফিস যাত্রী থেকে স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা নির্দিষ্ট সময় গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি।
মুর্শিদাবাদ পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার (ট্রাফিক) অনিমেষ রায় বলেন, ওখানে রাস্তা সরু। তারপরে রাস্তার কাজ চলছে। আজকে যে যানজট হয়েছিল, সেটা যাতে আর না হয় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বেলডাঙা পুরসভার একটি আবর্জনা বহনকারী গাড়ি থেকে আবর্জনা রাস্তায় পড়ে যায়। পুনরায় তা গাড়িতে তুলতে দীর্ঘক্ষণ সময় লেগে যায়। আর তার জেরেই জাতীয় সড়কের রাস্তার একটি লেন সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
যদিও নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, কোনও না কোনও ঘটনায় প্রতিদিনই এই রাস্তায় যানজট হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিসকে আরও তৎপর হতে হবে।
বেলডাঙার বাসিন্দা প্রভাস ঘোষ বলেন, আমি প্রতিদিন জাতীয় সড়ক দিয়ে বাইক নিয়ে যাতায়াত করি। ইদানিং প্রচণ্ড যানজট হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার কাজ করার জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছে। বহরমপুর থেকে কলকাতা বা কৃষ্ণনগর যেতে মানুষকে প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সোমবার রাতেও দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক যানজটে অবরুদ্ধ ছিল। এদিন সকাল থেকেও বেশ কয়েক ঘণ্টা রাস্তা অবরুদ্ধ ছিল। বহরমপুরের বাসিন্দা গৌতমকুমার রায় বলেন, বেলডাঙা যাওয়া এখন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কপথে যাওয়ার বদলে রেলপথে যাতায়াত শুরু করেছি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, যে গতিতে বেলডাঙায় জাতীয় সড়কের কাজ হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না। সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের বলেছি, যাতে কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। মাঝেমধ্যে বর্ষার জন্য নির্মীয়মাণ রাস্তায় এবং কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র