• আলিপুরদুয়ার পেল সেরা পুলিশ জেলার শিরোপা, সম্মানিত এসপি-ও
    এই সময় | ০৪ জুলাই ২০২৫
  • উত্তরবঙ্গের এই ছোট্ট জেলা সবুজে মোড়া। বছরের প্রায় সব সময়েই পর্যটকদের ভিড়। জঙ্গল-চা বাগান-টোটোপাড়া কী নেই! সেই আলিপুরদুয়ার এ বার রাজ্যের ‘বেস্ট কেপ্ট পুলিশ ডিসট্রিক্ট।’

    আজ, শুক্রবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার কলকাতার ‘ভবানী ভবন’-এ এক অনুষ্ঠানে এই স্বীকৃতি তুলে দেবেন জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশীর হাতে।

    ‘এই সময়’-কে তিনি বলেন, ‘এই পুরস্কার আমার টিম ও আমার কঠোর পরিশ্রমের ফল।’ তবে এর বাইরে এসপি ব্যক্তিগত স্তরেও একটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। আইআইটি খড়্গপুরের এই প্রাক্তনী ‘পাবলিক সার্ভিস’-এ উৎকর্ষতার জন্য বুধবারই পেয়েছেন ‘ইয়ং অ্যালামনাই অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড।’

    তা নিয়ে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘আমি একটাই নীতি মেনেছি। নিজে থেকে অ্যাপ্লাই করব না। কেউ আমার কাজ দেখে নমিনেট করলে ঠিক আছে। তাই আমি খুশি যে অন্তত একজন আমার কাজের জন্য আমায় বেছেছেন।’ তবে এসপি বেশি খুশি তাঁর জেলা ‘সেরার’ সম্মান পাওয়ায়।

    পুলিশ সূত্রে খবর, ৬টি বিষয় দেখা হয় — অপরাধ, আইন–শৃঙ্খলা, পুলিশ ট্রেনিং, ট্র্যাফিক, অবৈধ কাজের (যেমন মাদক সেবন) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, জনসংযোগ ও জেলার গোটা ফোর্সের মধ্যে ডিসিপ্লিন রাখা ও তাঁদের ওয়েলফেয়ারের ব্যবস্থা।

    তবে এমন নয় যে অন্যান্য জেলার সঙ্গে এই সবের তুলনা হয়। এসপি জানালেন, আগের বার এই বিষয়গুলি কী অবস্থায় ছিল ও বর্তমানে তার থেকে কতটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক পার্থক্য হয়েছে, সেটাই বিচার্য।

    প্রতি বছরই একজন এডিজি, আইজি ও ডিআইজিকে নিয়ে একটি ইউনিট তৈরি হয়। সেই ইউনিটই জেলাগুলির উন্নতির মাপকাঠিতে সেরা পুলিশ জেলা, সেরা কমিশনারেট, সেরা থানা ইত্যাদির সুপারিশ করে।

    একার কোনও কৃতিত্ব মানতে নারাজ তিনি। তবে ওই জেলারই অন্য এক অফিসার বললেন, ‘উনি এখানে তিন বছর আছেন। এসপি নিজে যে ভাবে জনসংযোগ করেন, সাধারণের সঙ্গে মেশেন, তা সে সাইকেল চালানো হোক বা চায়ের দোকানে আড্ডা, ফুটবল মাঠে গিয়ে একটু বল ঠেলা, ম্যারাথন — সবেতেই উনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই সময়েই শুনেছেন সাধারণ মানুষের অভাব–অভিযোগ।’

    তবে তাঁর সেরা কাজ মাদকাসক্ত তরুণ প্রজন্মকে সেখান থেকে বের করে আনার বিভিন্ন পদক্ষেপ বলেই মনে করেন স্টুডেন্ট, টিচার, সাধারণ মানুষ থেকে সমাজকর্মীরাও।

    এর সঙ্গে রয়েছে অভাবী মেধাবীদের জন্য আইআইটি ও নিট-এর প্রবেশিকার কোচিং। ক্লাস নেন এসপি ও আইআইটি-র অনেক প্রাক্তনীই। সাফল্যও এসেছে তাতে। কিন্তু সেগুলো ‘একান্ত গোপন।’

    রঘুবংশীর কথায়, ‘আমার জেলার প্রতিটি ইউনিট তাদের সেরাটা দিয়েছে বলেই এই স্বীকৃতি। আমাদের প্রফেশনে একা কিছু করা সম্ভবই না। আমি টিমের ক্যাপ্টেন। ওইটুকুই।’

  • Link to this news (এই সময়)