কোচবিহারে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা। ঘটনা ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য কোচবিহার-২ ব্লকের ঝিনাইডাঙা এলাকায়। দলীয় কাজে সেরে বৃহস্পতিবার রাতে ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ওই সময়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কালো রঙের একটি স্করপিও গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তৃণমূল নেতার ডান কাঁধে গুলি লাগে। জখম তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। হামলার ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে রাজ্যের শাসকদল। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন রাজু। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু দে কোচবিহার-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং চকচকা অঞ্চলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ও সংলগ্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুতই অপরাধী ধরা পড়বে বলেই আশ্বাস তদন্তকারীদের।
তৃণমূলের অভিযোগ, এই গঠনার নেপথ্যে বিজেপি। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, ‘জেলা জুড়ে তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। ওদের কর্মীরা বিভিন্ন সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরেই এই ঘটনা। এখানে বিজেপির কোনও নেতা বা কর্মী যুক্ত নেই।’ তাঁর অভিযোগ, ‘তৃণমূল জেলা সভাপতি নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য আমাদের উপরে মিথ্যে অভিযোগ চাপাচ্ছেন।’
তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র তথা কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা রাজু। ওই অঞ্চলে তৃণমূলকে শক্তিশালী করার পিছনে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। ফলে এই হামলার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, দেখতে হবে। আমরা আশা করি, পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করবে। যেভাবে আমাদের দলের নেতার উপর হামলা হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।’