কসবাকাণ্ডের পুনর্নির্মাণ শুরু করলেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার ভোর ৪টে নাগাদ কড়া পাহারায় ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় তিন অভিযুক্তকে। সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে পুনর্নির্মাণের কাজ। গার্ডরুম ও ইউনিয়নরুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। ওইদিন যে নিরাপত্তারক্ষী কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তিনিও রয়েছেন ঘটনাস্থলে। কলেজের বিভিন্ন অংশের থ্রিডি ম্যাপিং-ও করা হয় বলে সূত্রের খবর। ২৫ জুন কোথায় কীভাবে চলেছে যৌন নির্যাতন, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেই কসবাকাণ্ডের পুনর্নির্মাণে পুলিশ।
এক সপ্তাহ আগেই নির্যাতিতাকে ঘটনাস্থলে আনা হয়েছিল। এবার অভিযোগকারীর দেওয়া তথ্য ও ঘটনাক্রম মিলিয়ে দেখতে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ। সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। নির্যাতিতা ও অভিযুক্তদের বয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাক্রমও খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকেরা। সকাল ৮টা ২১ নাগাদ শেষ হয় পুনর্নির্মাণ। তারপর আবারও পুলিশি ঘেরাটোপে অভিযুক্তদের নিয়ে বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে দক্ষিণ কলকাতার কসবার আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় কলেজের নিরাপত্তা রক্ষী সহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন কলেজের প্রাক্তনী। দু’জন বর্তমান ছাত্র আরেকজন কলেজের নিরাপরক্ষী। ওই দিন কলেজের ইউনিয়ন রুমে যৌন হেনস্থা করারও অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতার অভিযোগ, ঘটনার সময়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মী সব কিছু দেখেও কোনও পদক্ষেপ করেননি।
এদিকে আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত নিরাপত্তা রক্ষীকে আজ আদালতে তোলা হবে। নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল, ঘটনার আগে চোখের ইশারায় পিনাকীকে গার্ড রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। এমনকী নিরাপত্তা রক্ষীর ফোনও কেড়ে নেন এক অভিযুক্ত। কিন্তু, প্রশ্ন হলে ওই নিরাপত্তা রক্ষী তো জানতেন, ওই ঘরে কী হয়েছে? তা হলে ফোন ফেরত পাওয়ার পরে এবং অভিযুক্তরা কলেজ ছাড়ার পরে কেন তিনি কাউকে কিছু জানালেন না?