বিক্রম রায়, কোচবিহার: মোবাইল চুরির অভিযোগ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ। সেসময় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপ দেন স্বামী! পরে অন্য ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই ব্যক্তি ‘আত্মহত্যা’ করেন বলে অভিযোগ। মৃত ওই ব্যক্তির নাম উকিল বর্মন(৩২)। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচি এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, শীতলকুচির রাজারাম জয়দুয়ার গ্রামে ওই দম্পতির বাড়ি। উকিল বর্মনের সঙ্গে চম্পা বর্মনের বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। ওই ব্যক্তি দিনমজুরের কাজ করতেন বলে খবর। দু’জনের মধ্যে মাঝেমধ্যেই বিবাদ হত বলে খবর। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়েছিল বলে খবর। উকিল বর্মন দিন কয়েক আগে এলাকার এক ঠিকাদারের মোবাইল ফোন চুরি করে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ওই ঠিকাদারের স্ত্রী উকিল বর্মনের বাড়ি গিয়েছিলেন। মোবাইলের জন্য টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু টাকাপয়সা, মোবাইল কিছুই উকিল বর্মন দিতে পারেননি বলে খবর।
ঘটনা নিয়ে ওই বাড়িতে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বলে অভিযোগ। ঠিকাদারের স্ত্রী ফিরে গেলে এরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। রাতে সেই বিবাদ আরও বাড়ে। সেসময়ই স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে উকিল বর্মন কোপ মারেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় চম্পা বর্মন ঘরের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন। উকিল বর্মন সেসময় পাশের ঘরে ঢুকে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন বলে অভিযোগ।
কিছু সময়ের মধ্যেই ওই ঘরে পৌঁছন প্রতিবেশীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় চম্পা বর্মনকে। পাশের ঘরে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। স্থানীয়রাই শীতলকুচি থানায় খবর দেয়। ওই মহিলাকে উদ্ধার করে দ্রুত মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে খবর। পুলিশ ওই বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।