• চালের খুদের পিঠে থেকে ড্রাই ফ্রুটস, মাসির বাড়িতে জগন্নাথদেবে এলাহি ভোগ
    প্রতিদিন | ০৪ জুলাই ২০২৫
  • রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সৈকত শহর দিঘায় এখন নতুন আকর্ষণ জগন্নাথ মন্দির। তার টানে প্রচুর পর্যটক রোজই ভিড় জমাচ্ছেন। এবছর প্রথমবার রথযাত্রা ঘিরে কয়েক হাজার ভক্তের বিপুল উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা দিঘায়। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নেমেছিল। জগন্নাথ মন্দির দর্শনের সঙ্গে প্রণামী বাক্সে মুক্ত হস্তে দান করছেন পুণ্যার্থীরা। মন্দিরের ট্রাস্ট কমিটি সূত্রে খবর, রথযাত্রায় মন্দিরের বিভিন্ন প্রণামী বাক্সে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা জমেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন, “রথযাত্রায় দিঘা জগন্নাথ মন্দিরে থাকা বিভিন্ন প্রণামী বাক্সে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা জমা হয়েছে।” সেইসঙ্গে মাসির বাড়িতে এখন উৎসবের রেশ, এলাহি ভোজন।

    জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ির মন্দিরের পাশেই সমুদ্র। সেই সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন এবং মন্দিরের কাঁসর-ঘণ্টা এখন মিলেমিশে একাকার। জগন্নাথদেবের সেবায় এলাহি আয়োজন করেছে মাসির বাড়ি পরিচালন কমিটি। রোজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাঁচবার ভোগ নিবেদন করা হচ্ছে প্রভু জগন্নাথদেবকে। তিনি মিষ্টি খেতে খুবই ভালোবাসেন। চালের খুদের পিঠে তাঁর অন্যতম পছন্দের খাবার। তাই রোজ মেনুতে থাকছে এই খুদের পিঠে। রোজ মন্দিরের সেবায়েতরা জগন্নাথদেবের জন্য তৈরি করছেন বিশেষ এই খুদের পিঠে। সাত থেকে আটজন সেবায়েত রোজ বিকেলে এই কাজ করে চলেছেন। প্রত্যেকদিন বিগ্রহকে নতুন নতুন সাজে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।

    দুপুর ১২টায় দেওয়া হয় বিশেষ রাজভোগ। সেই ভোগে থাকছে পাঁচ রকমের ভাজা, শুক্তো, ডাল ও পটলের তরকারি-সহ নানা পদ। দুপুর একটা থেকে তিনটে পর্যন্ত বন্ধ থাকছে মাসির বাড়ির দরজা। এরপর তিনটে থেকে ফের খুলে যায় মাসির বাড়ির দরজা। সন্ধ্যায় অর্পণ করা হয় জগন্নাথদেবের অন্যতম প্রিয় খুদের পিঠে।

    এছাড়া শয়নে যাওয়ার আগে দেওয়া হয় দুধ এবং ড্রাই ফ্রুটস। পাশাপাশি উলটোরথের জন্য এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। শনিবার দুপুরের পরে ফের মাসির বাড়ি থেকে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেবেন জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। তিনদিন রথেই থাকার পরে গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন। এই তিনদিন সমস্তরকম পুজোপাঠ চলবে রথেই। পুণ্যার্থীরাও জগন্নাথদেবের দর্শন করতে পারবেন।

    কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা দিঘা জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্ট কমিটির সদস্য রাধারমণ দাস বলেন, “উলটোরথেও দিঘায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের মতোই থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে নবান্নে বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছেন। মাসির বাড়ি থেকে মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা আসবেন। মূল গেটের ভিতরে রথেই প্রভু তিনদিন থাকবেন। সেখানেই পুজোপাঠ ও ভোগ নিবেদন করা হবে। তার প্রস্তুতি চলছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)