ঘটনার সূত্রপাত ৩০ জুন। ওইদিন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, এক বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধর করছেন কয়েকজন মহিলা। শুধু মারধর নয়, তাঁর জামাকাপড় ছিঁড়ে দিয়ে গোটা গায়ে রং নিয়ে এসে ঢেলে দেয়। এরপরই প্রকাশ্যে আসে মূল কাহিনী। জানা যায়, খড়গপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফটকবাজার এলাকার ওই ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে এক মহিলার নাম বেবি কোলে। তিনি তৃণমূল নেত্রী। সঙ্গে তাঁর অনুগামীরা। যাঁকে মারধর করা হয় তিনি এলাকার এক প্রবীণ সিপিএম নেতা অনিল দাস। বিষয়টা জানার পরই কঠোর পদক্ষেপ করে তৃণমূল। অভিযুক্ত নেত্রীকে শোকজ করে জেলা নেতৃত্ব।
ঘটনার পর অনিল দাস দাবি করেন তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঘটনার নিন্দায় সরব হয় সব মহল। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়। কিন্তু তারপর ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বেবি কোলের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই অভিযোগ। সেই কারণেই এবার অনিল দাস হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, “রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্যে মারধর করা হয় খড়্গপুরের প্রবীণ বাম নেতা অনিল দাসকে। স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলের বিরুদ্ধে খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অনিল। ঘটনার ৭২ ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ।”