• টয়ট্রেন শুরু হয়েছিল দার্জিলিঙে! সেই ঐতিহাসিক দিনকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি
    আজ তক | ০৫ জুলাই ২০২৫
  • Toy Train Birth Day: আন্দোলন, ধস, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বারবার বিধ্বস্ত হয়েছে তার অস্তিত্ব। সব বাধাকে অতিক্রম করার ১৪৪ বছরে পা দিল দার্জিলিংয়ের গর্ব,  বাংলার গর্ব হেরিটেজ টয়ট্রেন।৪ জুলাই ১৯৮১ সালে ব্রিটিশ সরকারের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল টয়ট্রেনের যাত্রা। তা এখনও সগৌরবে মাথা উঁচু করে চলছে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং রুটে। একাধিক ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে,একাধিক ট্রেন বন্ধ হয়েছে, তৈরি হয়েছে ছোট রুটে জয় রাইড। তবে ১৯৮১ সালে চলা কয়লার ইঞ্জিনের মধ্যে দিয়ে হেরিটেজ তকমা ধরে রেখেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের এই টয়ট্রেন। যার জন্য দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ছুটে আসেন অমোঘ আকর্ষণের টানে।

    ১৮৮১ সালের আজকের দিনে জুলাই প্রথমার পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ ধরে শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ের উদ্দেশে ছুটে গিয়েছিল 'খেলনা ট্রেন'। এদিন সেই উপলক্ষে টয়ট্রেন দিবসের আয়োজন করে ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ ও নর্থ বেঙ্গল পেইন্টার্স অ্য়াসোসিয়েশন যৌথভাবে। টয়ট্রেনের জন্মদিনে খুদেদের গলায় ভেসে উঠল টয়ট্রেনকে নিয়ে লেখা 'কু কু ঝিক' গান । আয়োজন করা হয়েছিল লাইভ পেইন্টিং, পোস্টার পেইন্টিং, বসে আঁকো প্রতিযোগিতার মতো একাধিক অনুষ্ঠানের । সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রয়েছে নানা অনুষ্ঠান । অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী শিশুদের জন্য বিশেষ উপহারের আয়োজনও রাখা হয়।

    তবে ইউনেসকো টয়ট্রনকে হেরিটেজ শিরোপা দিলেও টয়ট্রেনের জন্মদিনকে সেভাবে তুলে ধরা হয়নি এর আগে। যে কারণে এদিন সাড়ম্বরে টয়ট্রেনের জন্মদিন পালিত হল । আর এই  জন্মদিনটিকে যাতে ইউনেসকো টয়ট্রেন দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয় সেই দাবিও উঠল। নর্থ বেঙ্গল পেইন্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুজয় মিত্র সংবাদমাধ্যমক জানান, টয়ট্রেন ইউনেসকো হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। আর ৪ জুলাই প্রথম শিলিগুড়ি থেকে টয়ট্রেন দার্জিলিং গিয়েছিল। সেই জন্য আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব এই দিনকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিক ইউনেসকো । আর তার জন্য পদক্ষেপ করুক ডিএইচআর । এই বিষয়ে ডিএইচআরের অধিকর্তা ঋষভ চৌধুরীও মনে করেন এটা ন্যায্য দাবি। তিনি জানান, বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

     
  • Link to this news (আজ তক)