নতুন শিক্ষিকা পছন্দ না হওয়ায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা! চাঞ্চল্য নদিয়ায়
প্রতিদিন | ০৫ জুলাই ২০২৫
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: নতুন শিক্ষিকাকে পছন্দ হয়নি! সেজন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা। ঘটনার জেরে তিনদিন ধরে বন্ধ ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। রান্না না হওয়ায় শিশু ও প্রসূতিরা খাবার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধুবুলিয়ায়। যদিও ওই তৃণমূল নেতা সেই অভিযোগ মানতে রাজি নন।
নদিয়ার ধুবুলিয়া বটতলার ১ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র প্রায় ২২ বছর ধরে চলছে। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আগের শিক্ষিকা গত ৩০ জুন অবসর নিয়েছেন। গত ১ জুলাই ওই কেন্দ্রে শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন টুকটুকি খাতুন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরদিনই ধুবুলিয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূল নেতা বরকত আলি শেখ ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। শিক্ষিকা টুকটুকি খাতুন বলেন, “১ জুলাই এখানে কাজে যোগ দিয়েছি। উনি ২ তারিখ চাবি দিয়ে দেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, ওঁর পছন্দের লোককেই নিয়োগ করতে হবে। তাই, তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে চলে গিয়েছেন।” শিক্ষিকা আরও বলেন, “আসতে নিষেধ করার পরও কেন আমি এসেছি বলে ধমক দেন।” বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “অফিসেও জানিয়েছে। আমি চাই, বাচ্চারা যেন খাবার পায়।”
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আগের শিক্ষিকা অবসর নিয়েছেন ৩০ জুন। ওই পদের জন্য গত মে ১৩ তারিখে একজন আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁকেই নেওয়ার বিষয়ে ঠিক ছিল। কিন্তু, আচমকা সিডিপিও এই শিক্ষিকাকে নিয়োগ করেছেন। তাই পাড়ার লোক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা দিয়েছেন।” অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা তাহাজান বিশ্বাস বলেন, “তিনদিন ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি বন্ধ। গর্ভবতী মহিলা-সহ ১২০ জনকে খাবার দেওয়া হয়। কেউ খাবার পাচ্ছেন না।” নাসিনা বিবি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা চাই, শিশুরা পড়াশোনা করুক। খাবার পাক।” শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। ধুবুলিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা মণি ঘোষ বলেন, “গায়ের জোরে তালা দিয়ে চলে গিয়েছেন। যা খুশি করছেন, এটা ঠিক নয়। শিশুদের অপরাধ কোথায়? কেন তারা খাবার পাবে না?”